চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ চলতি (২০২৪-২৫) অর্থবছরের প্রথম চার মাসে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি বলে অভিযোগ উঠেছে । তবে গত বছরের তুলনায় রাজস্ব আদায় বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ২ হাজার ৪১৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা কম আদায় হয়েছে গত চার মাসে। চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই থেকে অক্টোবর) চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৬ হাজার ৬৩৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) রাজস্ব আদায় হয়েছে ২৪ হাজার ২২২ কোটি ৭২ লাখ টাকা। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রাজস্ব ঘাটতি রয়েছে ২ হাজার ৪১৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ২২ হাজার ৫৬১ কোটি ১৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ একই সময়ে গত বছরের তুলনায় রাজস্ব আদায় বেড়েছে এক হাজার ৬৬১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে রাজস্ব আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের ডেপুটি কমিশনার (প্রিভেন্টিভ) মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, কয়েক বছর ধরে দেশে ডলার সংকট চলছে। এতে অনেক পণ্যের আমদানি কমেছে। তবে চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে তা অনেকটা কাটিয়ে ওঠার ফলে পণ্য আমদানি বেড়েছে। চট্টগ্রাম কাস্টমসের রাজস্ব আয়ও গত অর্থবছরের প্রথম চার মাসের তুলনায় বেড়েছে।
তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে দেশে ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের মধ্য দিয়ে দেশে ধীরে ধীরে স্থিতিশীলতা আসতে শুরু করেছে। তবে এই রাজনৈতিকর অস্থির সময়ের মধ্যেও দেশে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চলমান। পাশাপাশি এ সময়ে দেশে বন্যায় সৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সারাদেশে পণ্য পরিবহনে বেগ পোহাতে হয়। যার প্রভাব পড়েছে রাজস্ব আহরণেও। যে কারণে বিগত চার মাসের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হয়নি।
চলতি (২০২৪-২৫) অর্থবছরে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮৩ হাজার ৪৩২ কোটি টাকা। এর মধ্যে অর্থবছরের এক-তৃতীয়াংশ সময় (জুলাই-অক্টোবর) শেষে আহরণ হয়েছে ২৪ হাজার ২২২ কোটি ৭২ লাখ টাকা। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজকে আগামী ৮ মাসে আরও ৫৯ হাজার ২০৯ কোটি ২৮ লাখ টাকার রাজস্ব আদায় করতে হবে।