নগরীর নাসিরাবাদ দুই নম্বর গেইটস্থ বিপ্লব উদ্যানে গড়ে তোলা বাণিজ্যিক স্থাপনা ভেঙে ফেলে সেখানে নাগরিকদের জন্য সবুজ পার্ক নির্মাণ করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) নগরের দুই নম্বর গেটের বিপ্লব উদ্যানে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। এরআগে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম এবং সচিব আশরাফুল আমিনকে নিয়ে বিপ্লব উদ্যান এলাকা পরিদর্শন করেন মেয়র।
পরিদর্শন শেষে বিপ্লব উদ্যানের নতুন মার্কেটের জন্য করা স্থাপনা ভেঙে দেওয়া হবে জানিয়ে ডা. শাহাদাত বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এ বিপ্লব উদ্যান থেকে অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, যেটা ঠিক এর পেছনেই ছিল সেখান থেকে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। উনি কর্নেল জানজুয়াকে হত্যা করে পাক হানাদার বাহিনীকে বলেছিলেন- আমি বিদ্রোহ ঘোষণা করছি। উনি পাকিস্তানি আর্মির মেজর ছিলেন। বিদ্রোহ করার কারণে ওনার কোর্ট মার্শাল হতে পারত। মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে সেদিন উনি বাংলাদেশকে স্বাধীন করার লক্ষ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। সেটার জন্য এ বিপ্লব উদ্যান ঐতিহাসিক স্মৃতি বিজড়িত স্থান।
তিনি বলেন, ‘বিপ্লব উদ্যানে মার্কেটের জন্য যে স্থাপনাগুলো করা হচ্ছে সেগুলো ভেঙে দেওয়া হবে। এখানে কোনো নতুন স্থাপনা হবে না। এখানে সবুজের সমারোহ হবে। এখানে আবারও পাখি ডাকবে। মানুষ হাঁটবে ও অক্সিজেন নেবে। এখানে মালিক সমিতির যিনি সেক্রেটারি আছেন আমি তাকে নির্দেশ দিচ্ছি এখানে নবনির্মিত লোহার কাঠামোগুলো ভেঙে দেবেন। আমরা এখানে একটি গ্রিন পার্ক করবো।’
২০১৯ সাল থেকে নগরের দুই নম্বর গেটে অবস্থিত বিপ্লব উদ্যানে সবুজায়ন ধ্বংস করে ‘বাণিজ্যিক স্থাপনা’ নির্মাণে গুরুত্ব দেয় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। এতে কোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণ না করার এবং পুরোনো স্থাপনা অপসারণের দাবি জানিয়ে আসছিল নাগরিক সমাজ, নগর পরিকল্পনাবিদ ও বিভিন্ন সংগঠন। যদিও এসব আপত্তি আমলে না নিয়ে গতবছর (২০২৩) আবারো নতুন স্থাপনা নির্মাণে চুক্তি করে চসিক।