প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশে রেমিটেন্স প্রবাহের গতি বেড়েছে। ফলে এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে হাত না দিয়েই আন্তর্জাতিক পেমেন্টগুলো করতে পারছি। ভারতের আদানী গ্রুপের বকেয়া পেমেন্ট দেওয়ার গতি বেড়েছে। সামনে আরও বাড়বে। সেই সক্ষমতা সরকারের আছে।
রোববার সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
প্রেস সচিব বলেন, বিদ্যুৎ আমদানির জন্য ভারতের আদানী গ্রুপ টাকা পায় এটা সত্য। তাদের পেমেন্ট দেওয়ার ক্ষেত্রে গতি বাড়িয়েছি। আগের যে বিল বকেয়া আছে সেটার জন্য মূলত দায়ী পূর্ববর্তী আওয়ামী লীগ সরকার। তারা বিশাল দেনা রেখে গেছেন।
আদানী গ্রুপকে গত মাসে আমরা ৯৭ মিলিয়ন ডলার পেমেন্ট করা হয়েছে। যেটা আগস্ট বা আগের মাসের চেয়ে দ্বিগুন। আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ পেমেন্ট আরও দ্রুত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেশের রিজার্ভ বাড়া শুরু করেছে। আন্তজার্তিক পেমেন্টগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে হাত না দিয়েই করতে পারছি।
তিনি বলেন, পেমেন্ট ৭০০ মিলিয়ন ডলার বাকি আছে। সেটিও দ্রুত সময়ের মধ্যে করে দিতে পারবো।
প্রেস সচিব জানান, আমরা কারো দ্বারা জ্বালাফন নির্ভর হবো না। নিজেরাই স্বয়ংসম্পর্ণ হবো।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ১৬ থেকে ১৮ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার হয়েছে টিআইবি নির্বাহী পরিচালকের এমন অভিযোগের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পতিত আওয়ামী লীগ সরকার টাকা পাচারের এক ধরনের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল। সেই টাকা ফিরিয়ে আনতে সরকার কাজ করছে। কত টাকা পাচার হয়েছে তা বের করতে উচ্চ পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই শ্বেতপত্র কমিটির প্রতিবেদনে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন।