পাঁচলাইশ থানাধীন হাদুমাঝিপাড়ার মুছা বিল্ডিংয়ের সামনের প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে কথাকাটির একপর্যায়ে প্রেমিকের ছুরিকাঘাতে খুন হলো প্রেমিকা। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে মেয়েটি নিস্তেজ হয়ে পড়লে পালিয়ে যায় প্রেমিক।
থানা সূত্রে জানা যায়, তারা দু‘জন প্রেমিক-প্রেমিকা। দীর্ঘ দিনের প্রেমের সম্পর্ক তাদের। এক পর্যায়ে শুরু হয় সন্দেহের টানা পোড়েন। ২ মাস ধরে চলছিল মনমালিন্য। বন্ধুর সাথে নতুন প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছে এমন সন্দেহে প্রেমিকাকে ছুরিকাঘাত করে খুন করল প্রেমিক। ঘটনার ৬ ঘন্টার মধ্যে পলাতক প্রেমিককে গ্রেফতার করতে সক্ষম হলো পুলিশ।
পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর প্রেমিকাকে খুন করার কথা স্বীকার করলেন প্রেমিক মোঃ তারেক। ঘটনার পর পালিয়ে অবস্থান নেন রাঙ্গুনিয়া থানাধীন চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান এলাকায়। সেখান থেকে গ্রেফতার পাঁচলাইশ মডেল থানা পুলিশ।
আজ শনিবার সিএমপিতে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন এডিসি কাজী মোঃ তারেক আজিজ। তিনি জানান, সন্দেহের জেরেই পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় ভিকটিমকে।
তিনি বলেন, ভিকটিম চাকরি করতেন আতুরারডিপো এলাকার একটি গার্মেন্টসে। ঘটনারদিন সুকৌশলে ডেকে নিয়ে খুন করা হয় তাকে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও ভিকটিমের কাঁদাযুক্ত স্যান্ডেল উদ্ধার করে পুলিশ।