রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) চট্টগ্রাম ও সিলেট বিমানবন্দরে কার্গো সুবিধা চায়।
প্রতিষ্ঠানটির ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন বলেছেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো সুবিধা থাকায় আকাশপথে রপ্তানি সহজ হয়। একইভাবে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিমানবন্দরেও কার্গো সুবিধা নিশ্চিত করতে পারলে আকাশপথে রপ্তানি সহজ হবে।
আজ বুধবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নবনির্মিত থার্ড টার্মিনালের কার্গো ভিলেজ পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের পরিচালিত কৃষি পণ্যের কোল্ড স্টোরেজ এবং ঢাকা কাস্টমস হাউস পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনের সময় তিনি বলেন, কৃষি পণ্য ও হিমায়িত মাছ রফতানির সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও বিমানবন্দরে পর্যাপ্ত সুবিধা না থাকায় রপ্তানি কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আকাশপথে রপ্তানি অব্যাহত রাখার স্বার্থে ইডিএস মেশিনগুলো দ্রুত মেরামত করে সচল করার জন্য সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিদের অনুরোধ জানান ইপিবি ভাইস চেয়ারম্যান। পচনশীল ও ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য ট্রাক থেকে অফলোড করার পর কুলিং চেইনে স্থানান্তরের পূর্ব পর্যন্ত পণ্যের গুণগত মান অক্ষুণœ রাখতে কুলিং চেম্বার নিশ্চিত করারও পরামর্শ দেন তিনি।
ইপিবি ভাইস চেয়ারম্যান বিমানবন্দরের চারটি এক্সপ্লোসিভ ডিটেকশন স্ক্যানার (ইডিএস) মেশিনের কার্যকারিতা, কার্গো ভিলেজের অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা এবং কার্গো হ্যান্ডলিংয়ের জন্য অপর্যাপ্ত স্পেস এর বিষয়টি সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন শেষে ইপিবি ভাইস চেয়ারম্যান সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবির ভুঁইয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং কার্গো ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে আরো ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান।
প্রতিনিধি দলে বাংলাদেশ বিমান, বাংলাদেশ ব্যাংক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম ও সিলেট বিমানবন্দরে কার্গো সুবিধা চায় ইপিবি
অনলাইন ডেস্ক