চট্টগ্রাম নগরীতে নেচে গেয়ে শাহাদাত হোসেন নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা তিনজনই নিহত শাহাদাতের বন্ধু বলে জানা গেছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। তবে রাত ১২টার দিকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানাজানি হলেও পুলিশ গ্রেপ্তারকৃতদের নাম বলতে রাজি হয়নি।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, ‘তিনজন গ্রেপ্তারের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।’
গত শনিবার চট্টগ্রামে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রেখে এক যুবককে মারধরের ২০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা গেছে, নীল রঙের গেঞ্জি এবং জিনস প্যান্ট পড়া এক যুবক ঢুলছেন। যার দুই হাত বেঁধে রাখা হয়েছে স্টিলের পাইপের সঙ্গে। আর এই যুবককে ঘিরে গোল হয়ে কয়েকজন যুবক চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় ‘মধু হই হই আঁরে বিষ খাওয়াইলা’ গান গাইছে। ভিডিওতে কয়েকজন যুবকের হাতে লাঠিও দেখা গেছে। পরে মারধর করা ওই তরুণের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
গত ১৪ আগস্ট ষোলশহর ২নং গেট এলাকায় আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের নিচে এই ঘটনা ঘটে। এ সংক্রান্ত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসে গত শনিবার। হত্যার পর তার লাশ ফেলে রাখা হয়েছিল নগরের প্রবর্তক মোড়ে বেসরকারি একটি হাসপাতালের সামনে রাস্তায়।
ঘটনার পরের দিন পাঁচলাইশ থানায় ভিকটিমের বাবা মো. হারুন অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। শাহাদাত হোসেন নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি থানার পাঁচবাড়িয়া ইউনিয়নের নদনা গ্রামের মিয়া জান ভুঁইয়া বাড়ির মোহাম্মদ হারুনের ছেলে। স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন কোতোয়ালী থানাধীন বিআরটিসি এলাকার বয়লার কলোনিতে। তার স্ত্রী এখন অন্তঃসত্ত্বা। গত ১৩ আগস্ট সাগর নামে এক বন্ধুর কাছে পাওনা টাকা আনতে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন শাহাদাত।