অন্তর্বর্তীকালিন সরকার প্রধান প্রফেসর ড. ইউনুস রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে গতকাল শনিবার বৈঠক করেছেন।গত বৃহস্পতিবার বিএনপি সাথে বৈঠকের পর বলা হয়েছিলো শনিবার অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সাথে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুস।গতকালের বৈঠক শেষে দেখা যাচ্ছে তিন দফায় সরকারের সাথে বৈঠকের সুযোগ পাওয়া রাজনৈতিক দলের চাইতে প্রায় দ্বিগুণ সংখ্যক দল সুযোগ বঞ্চিত আছে এখনো। বৈষম্য মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করা সরকারের পক্ষ থেকে এই পর্যন্ত দেশের সেই সকল বঞ্চিত রাজনৈতিক দলের সাথে বৈঠক করার বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।
এই প্রতিবেদক গতকালের বৈঠকে অংশ নেওয়া দল সমূহকে ও গত ১২ আগষ্ট অংশ নেওয়া দল সমূহকে রেখে দেশের অবশিষ্ট রাজনৈতিক দল সমূহের (যাঁরা সরকার প্রধানের সাথে বৈঠকের সুযোগ পাননি) তালিকা তৈরী করেছেন আমাদের পাঠকদের জন্য। অংকের হিসাব বলছে,দেশের নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত কিন্তু সক্রিয় উভয় ক্ষেত্রে ৩৫% দলের সাথে বৈঠক করেছেন। গতকাল শনিবার যমুনায় সাত ইসলামি দলের সাথে বৈঠক দিয়ে শুরু করেন রাজনৈতিক দল সমূহের সাথে বৈঠক।তাঁরা হলো,খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী, খেলাফত আন্দোলন, ইসলামী আন্দোলন এবং নেজামে ইসলাম বাংলাদেশ। এরপর একে একে গণফোরাম,এলডিপি,জাতীয় পার্টি,এনপিপি,জাগপা,এনডিপি,গণদল, বাংলাদেশ ন্যাপ, সাম্যবাদী দল,জাতীয় পার্টি(কাজী জাফর), বিএলডিপি,জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, লেবার পার্টি,জাগপা(আরেক অংশ),কল্যান পার্টি (একাংশ),বিকল্পধারা, ও বাংলাদেশ জাসদ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন। দেশের দায়িত্বভার নেওয়ার পর গত ১২ আগষ্ট সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুস বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী,সিপিবি,গণতন্ত্র মঞ্চ, বিজেপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ,এবি পার্টি,গণঅধিকার পরিষদ, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য ও এনডিএমের সাথে বৈঠক করেছিলেন। মতবিনিময় সভায় ডাক পায়নি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি,জাতীয় পার্টি (জেপি),বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম, তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএম ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টিসহ (বিএসপি),আমার বাংলাদেশ পার্টি,ইনসানিয়াত বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কংগ্রেস,বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট,বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি(একাংশ), বাংলাদেশ ইসলামি ফ্রন্ট,কল্যান পার্টি,ইসলামিক ফ্রন্ট,গনফ্রন্ট, জাকের পার্টি,বিকল্প ধারা সহ আরও কয়েকটি দল। এখানে বিশেষ ভাবে লক্ষ্যনীয় যে,বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৪৫ টি। গতকাল পর্যন্ত সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড.ইউনুস যেসকল রাজনৈতিক দলের সাথে বৈঠক করেছেন,সেখানে নিবন্ধিত দল ছিলো ১৬ টি।বাকি ২৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সাথে বৈঠক করেননি অদ্যাবধি। তাছাড়া দেশের রাজনীতিতে মোটামুটি সক্রিয় কিন্তু নিবন্ধন নেই এমন দলের সংখ্যা কমপক্ষে সতেরোটি।তন্মধ্যে ছয়টি দলের সাথে বৈঠক করেছেন তিনি।দলগুলো হলো,গণঅধিকার পরিষদ,নেজামে ইসলাম,বাংলাদেশ লেবার পার্টি, জাতীয় পার্টি(কাজী জাফর),বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল (সাঈদ), ও নাগরিক ঐক্য।