বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বোয়ালখালী পৌরসভা শাখার উদ্দৌগে সহযোগী সমাবেশ ৩০ আগষ্ট ( শুক্রবার) সকালে গোমদন্ডী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে জামায়াতে ইসলামী পৌরসভার সেক্রেটারি আবুল মনসুরের সঞ্চালনা ও পৌরসভার আমীর মুহাম্মদ হারুন এর সভাপতিত্বে অনুষ্টিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার আমীর এডভোকেট আনোয়ারুল আলম চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতে ইসলামী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার এ্যসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি, মুহাম্মদ জাকারিয়া, , চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার, তালীমুল কুরআন বিভাগের পরিচালক মাওলানা আরিফে জামী, গার্ডিয়ান কালচারাল একাডেমি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সেক্রেটারি মুহাম্মদ শাহাদাৎ হোসাইন, বোয়ালখালী উপজেলা জামায়াতের আমীর ডা. খোরশেদ আলম, নায়েবে আমীর ডা. আবু নাছের, অর্থ সম্পাদক আব্দুল মান্নান, অফিস সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, ছাত্রশিবির বোয়ালখালী সদর শাখার সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান অয়ন, পূর্ব শাখার সভাপতি সাইফুদ্দিন, দক্ষিণ শাখার সভাপতি ফয়জুল্লাহ, পৌরসভার নায়েবে আমীর ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রহমান, রফিকুল ইসলাম খসরু, নাছির উদ্দিন, সহ জেলা, উপজেলা ও পৌরসভার নেতৃবৃন্দ। উক্ত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার দীর্ঘ ১৭ বছরে এদেশকে গুম, খুন সহ অপরাধের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে। তারা আমাদের কর্মীদের কুরআন, হাদীস, সাহিত্য অধ্যয়ন, এমনকি মৌলিক ইবাদত পালনে বাধা প্রদান করেছে। এদেশের ছাত্রসমাজ এবং তাওহীদি জনতা তাদের শোষন নিপীড়নের দাঁতভাঙা জবাব দিয়েছে, ফলে শেখ হাসিনা থেকে শুধু করে দেশের ৩০০ জন এমপি-মন্ত্রীসহ সকল নেতাকর্মীদের দেশ ছেড়ে পালানোর মত ঘটনা ঘটেছে। আমরা চাই সকল অপরাধের সুষ্ট তদন্তের মাধ্যমে হাসিনা দেশে এনে তার বিচার করা হোক।
এ সময় বক্তার বলেন এ দেশের মানুষ দীর্ঘ সংগ্রামের পর দ্বিতীয় স্বাধীনতা লাভ করেছে, এ স্বাধীনতা কে অর্থবহ করতে হলে জামায়াতে ইসলামীর প্রতিটি নেতাকর্মীকে দায়িত্বশীলের ভূমিকা পালন করতে হবে। এদেশ কে সংস্কারের জন্যে দেশের প্রতিটি বাহিনী সহ রাষ্ট্রের দায়িত্বরত প্রতিনিধিদের সহযোগিতা করতে জামায়াতে ইসলামী সর্বাত্তক প্রস্তুত রয়েছে। আর কোন স্বৈরশাসক যেন এদেশের ক্ষমতায় আসতে না পারে সেদিকেও আমাদের পাহারা দিতে হবে। যারা ইতিমধ্যে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ও দখলদারিত্ব শুরু করেছে তাদের কে সুধরানোর পরামর্শ দিয়েছেন, না হয় দেশের ছাত্রসমাজ ও সাধারন জনতা যে কোন স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামতে বাধ্য হবে।
তিনি আরও বলেন, ভারত আমাদের দেশে তাদের পানি দিয়ে বন্যা সৃষ্টি করে আবারো প্রমান করেছে তারা চাই এদেশের জনগন কখনো ভালো না থাকুক, তবে আমরা ভালো আছি, তারা আমাদের জনগনের মাঝে আরো শক্তিশালী একতা গড়ে দিয়েছেন। দেশের প্রতিটি মানুষ যেভাবে বন্যার্তদের সহযোগিতা করছে সেভাবে আমরা এক থাকতে পারলে আগামী দিনে একটি সুন্দর প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। পরিশেষে নেতাকর্মীদের সাংগঠনিক অধ্যয়ন বৃদ্ধি, ময়দানে কাজ বৃদ্ধি, সামাজিক কাজ বৃদ্ধি, এবং নিজেদের আমলের প্রতি গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।