চট্টগ্রাম, ফেনীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গার সৃষ্ট বন্যার কবলে পড়া বানভাসীদের জন্য শুকনো খাবারসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে ছুটে যাচ্ছে স্বেচ্ছাসেবী, মানবাধিকার, সামাজিক সংগঠন, সাধারণ ছাত্র-জনতাসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ…এর মধ্যে বন্যার্তদের নিয়ে যাওয়া শুকনো খাবারসহ বিভিন্ন সামগ্রীর কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বাজারে অস্থিতিশীল পরিস্থিত সৃষ্টি করছে একটি চক্র।
আজ মঙ্গলবার বন্যার্তদের শুকনো খাবারসহ বিভিন্ন সামগ্রীর কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারীদের রুখে দিতে চট্টগ্রাম নগরীর বক্সিরহাট বাজারের চিড়া মুড়ি ও মুদির দোকানে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তাধিকার চট্টগ্রাম বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়।
সাথে ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিট পুলিশের সদস্যরা। এসময় কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বৃদ্ধির অভিযোগে ৪ টি পাইকারি ও খুচরা দোকানকে মোট ২৭ হাজার টাকা জরিমানার পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে ভোক্তাধিকারের কর্মকর্তারা।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ পরিচালক ফয়েজ উল্লাহ দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, অনেকে নিজের অর্থ ও সময় সব কিছু ব্যয় করে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াচ্ছে। আর কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বন্যার্তদের জন্য নিয়ে যাওয়া পণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছে এটি দুঃখজনক।
মানুষের প্রয়োজনের সুযোগে চিড়া মুড়ি কেজি ১০/১৫ টাকা করে বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। তদারকিকালে চিড়া, মুড়ি, ডিম, কাচামরিচ, পেঁয়াজ, রসুন আদাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যার সুযোগে অসামঞ্জস্যপূর্ণ মূল্য বৃদ্ধি করে বিক্রয় করার অপরাধে ৪ টি প্রতিষ্ঠানকে ২৭ হাজার জরিমানা করা হয়েছে।
এ পণ্যসমূহ পূর্বের দামে বিক্রয়ের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। জনস্বার্থে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এরূপ তদারকি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।