চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি ও হাটহাজারী উপজেলায় বন্যা দুর্গতদের মাঝে খাবার বিতরণের পাশাপাশি চিকিৎসাবঞ্চিতদের বিনামূল্যে ওষুধসহ চিকিৎসাসেবা প্রদান করেছে মাইজভাণ্ডার দরবার শরিফ গাউসিয়া হক মনজিল প্রতিষ্ঠিত ‘শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্ট’ ও ‘মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় পর্ষদ’ নিয়ন্ত্রণাধীন শাখা কমিটিসমূহের সদস্যদের নিয়ে গঠিত ‘ত্রাণ ও দুর্যোগ মোকাবেলা সেল’।
আজ ফটিকছড়ি উপজেলার ভুজপুর ইউনিয়ন এবং হাটহাজারী উপজেলার ধলই ও ফরহাদাবাদ ইউনিয়নে এবং মন্দাকিনী গ্রামে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এ দুই উপজেলার দুর্গত মানুষদের মাঝে রান্না করা খাবার, শুকনো খাবার, বোতলজাত পানি, মোমবাতিসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করা হয়। শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্ট নিয়ন্ত্রণাধীন চিকিৎসাকেন্দ্র সমূহের উদ্যোগে হারুয়ালছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়, হাইদচকিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও বড় ছিলোনিয়াস্থ অস্থায়ী ক্যাম্পের মাধ্যমে দুর্যোগে চিকিৎসা বঞ্চিত ৭ শতাধিক বয়স্ক, মহিলা ও শিশুদের বিনামূল্যে ওষুধসহ চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়। এছাড়াও মাইজভাণ্ডার শরিফ গাউসিয়া হক মনজিল প্রতিষ্ঠিত ‘ত্রাণ ও দুর্যোগ মোকাবেলা সেল’র সেবককগণ ফটিকছড়ি উপজেলার হারুয়ালছড়ি ও ধর্মপুর এলাকায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা সংষ্কারও করেন। সেলের ৪ শতাধিক সদস্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে ফটিকছড়ি ও হাটহাজারীর বানভাসী মানুষদের উদ্ধার কাজে অংশ নিয়ে শতশত মানুষরে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে নিরাপদে পৌঁছে দেন।
এছাড়া আশ্রয়কেন্দ্রসমূহে রান্না করা খাবার, শুকনো খাবার, বোতলজাত পানি, মোমবাতিসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহর করা হয়। বন্যা দুর্গত এলাকায় এসব মানবিক কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানান ট্রাষ্টের প্রশাসনিক ও সমন্বয় কর্মকর্তা তানভীর হোসাইন