সন্দ্বীপে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ আসার পর থেকে সবচাইতে দূর্নীতিগ্রস্থ প্রতিষ্ঠানে রুপ নিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।তার মধ্যে অন্যতম হলো মিটার ও খাম্বা বানিজ্য। যার মাধ্যমে গ্রাহকের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরন বিভাগের অনেক অসাধু কর্মকর্তা সহ একটি সিন্ডিকেট। তাই দলমত, ধর্ম, বর্ন নির্বিশেষে সাধারন গ্রাহকের মেলেনি বিদ্যুৎ সেবা। কেবল মাত্র যারা ঘুষ দিয়ে বিদ্যুৎ নিতে সক্ষম হয়েছে তারাই ভোগ করতে পেরেছে বিদ্যুৎ এর সুবিধা। অন্যদিকে অপ্রয়োজনীয় জায়গা বা যেখানে জনবসতি নেই এমন জায়গায় বিদ্যুৎ এর খুঁটি স্থাপন করে তাদের টার্গেটের বেশীর ভাগ পুর্ন করে জনবহুল এলাকা বা যেখানে বিদ্যুৎ এর চাহিদা রয়েছে সেখানে তৈরি করা হয়েছে খুঁটির কৃত্রিম সংকট,সাধারন গ্রাহকের জন্য মিলেছে বিভিন্ন কটুক্তি ও নানানমুখী হয়রানী।যেটির মূ্ল উদ্দেশ্য ছিলো খুঁটি ও মিটারের নামে বিশাল বানিজ্য।বিনামুল্যে বিতরনের জন্য কয়েক হাজার মিটার ও বিক্রি হয়েছে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকায়। ২৪ আগষ্ট বিকালে সন্দ্বীপ বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরন বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত গণশুনানীতে উঠে আসে এই সমস্ত অনিয়মের সীমাহীন তথ্য।
সন্দ্বীপের তালতলী বাজার সংলগ্ন পিডিবির সাব স্টেশন মাঠে অনুষ্ঠিত গণশুনানীতে বিদ্যুৎ বিভাগের নানা দূর্নীতি, অনিয়ম ও হয়রানীর কথা গ্রাহকরা তুলে ধরার পর বিদ্যুৎ বিভাগের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা তা দূরীকরনে যথাযথ ব্যাবস্থা নেবেন বলে সবাই কে আশ্বস্ত করেন। বিশেষ করে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার লক্ষে পিলার স্থাপনকে সহজলভ্য করা,মিটার সমস্যার সমাধানে তড়িৎ পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও জানান তারা।অন্যদিকে মিটার বাণিজ্যের বিপরীতে গ্রাহকরা আবেদন করে যেকোন দোকান থেকে মিটার কিনে বিদ্যুৎ অফিসে জমা দিতে বললেন কর্তৃপক্ষ। গণশুনানীতে বিদ্যুৎ বিভাগের বিভিন্ন স্তরের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা সহ বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন,আজমত আলী বাহাদুর, আলমগীর হোসেন ঠাকুর,নিঝুম খাঁন,ফোরকান উদ্দিন রিজভী, পাশা সুজন,এস.এম মাহবুবুল আলম শিমুল, সাংবাদিক সালেহ নোমান, বাদল রায় স্বাধীন, হাসানুজ্জামান সন্দ্বীপি,আবুল হাসেম,রিদোয়ানুল বারী, ইলিয়াস সুমন সহ যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিনিধি, শিক্ষক ও আলেম সমাজ সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন। অনেকে তাদের বক্তব্যের মাধ্যমে সন্দ্বীপে বিদ্যুৎ আসার ক্ষেত্রে বর্তমান বিদ্যুৎ ও জ্বালানী উপদেষ্ঠা,সন্দ্বীপ সন্তান ফাউজুল কবির খাঁন ও সাবেক সচিব মনোয়ার হোসেন এর প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।