ভারত থেকে নেমে আসা বন্যার পানি ও কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্থ খাগড়াছড়ির রামগড়। পানি কমতে শুরু করলেও বানবাসী মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। খাদ্য সঙ্কটে পড়েছেন রামগড়ের সাধারণ মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে খাগড়াছড়ির রামগড়ের বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছেন সেনাবাহিনীর মাটিরাঙ্গা সেনা জোন ও রামগড় বিজিবি। ২৪ আগস্ট শনিবার সম্প্রীতি ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় রামগড় জোন (৪৩ বিজিবি) কর্তৃক দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় ক্ষতিগ্রস্থ গরীব ও অসহায় ২২৫ পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী (নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী-১২৫ পরিবার এবং শুকনো খাবার-১০০ পরিবার ) বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ২০০ জন গরীব ও অসহায় বন্যা কবলিত মানুষদের মাঝে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ বিতরণ করা হয়। উল্লেখ্য, রামগড় জোন (৪৩ বিজিবি) কর্তৃক বন্যা কবলিত এলাকায় বসবাসরত জনসাধারণের মাঝে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী, শুকনো খাবার, বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ বিতরণ কার্যক্রম চলমান ।
রামগড় বিজিবি জোন অধিনায়ক লে.কর্নেল সৈয়দ ইমাম হোসেন জানান, দুর্গত এলাকায় বিজিবি’র মানবিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এদিকে, শনিবার সকাল থেকে রামগড়ে বন্যাকবলিত মানুষের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেন গুইমারা সেনা রিজিয়ন অধীন ১৫ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারী মাটিরাঙ্গা জোনের সেনা সদস্যরা। মাটিরাঙ্গা সেনা জোন অধিনায়ক লে. কর্ণেল কামরুল হাসান এর নির্দেশনায় ক্যাপ্টেন আহাদুজ্জামান শুভ’র নেতৃত্বে বিভিন্ন গ্রামের তিন শতাধিক বন্যা দুর্গত মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। ত্রাণ তৎপরতার পাশাপাশি নাকাপা এলাকায় পাহাড় ধ্বসে বন্ধ হওয়া সড়কে মাটি সড়িয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করেন ১৫ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারী মাটিরাঙ্গা জোনের সেনা সদস্যরা। এর ফলে ৩৭ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর খাগড়াছড়ি-ফেনী যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
মাটিরাঙ্গা সেনা জোন অধিনায়ক লে. কর্ণেল কামরুল হাসান বলেন, যতদিন পর্যন্ত বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে না, ততদিন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শুকনো খাবার, ত্রাণ ও চিকিৎসাসহ বিভিন্ন ধরনের মানবিক সেবা কার্যক্রম চলমান থাকবে।