ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাউজান থানায় প্রথমবারের মত সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশের ১০৩ নম্বর দলইনগর-নোয়াজিষপুর শাখা (এবাদত খানা) ভাঙচুর,অগ্নিসংযোগ, এবাদত খানায় অবস্থানরত সদস্যদের হত্যার চেষ্টাসহ নানা অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন উক্ত শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আলাউদ্দিন।
মামলায় সাবেক সাংসদ ছাড়াও সাংসদ পুত্র ফারাজ করিম চৌধুরী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম এহেছানুল হায়দর চৌধুরী বাবুল, সাবেক পৌর মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ, সাবেক প্যানেল মেয়র বশির উদ্দিন খাঁনসহ ৪৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে আসামী করা হয়। ২৩ আগস্ট সকাল ১০ টায় মামলাটি রুজু হয় বলে নিশ্চিত করেছেন রাউজান থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) সিদ্দিকুর রহমান। এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল বিকাল ৪টায় দেশীয় পিস্তল, দেশীয় ধারালো অস্ত্র, হকিস্টিক, চাইনিজ কুড়াল ইত্যাদি নিয়ে মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটির অনুসারীদের উপর হামলা চালিয়ে জখম করা হয়। পরে মাহফিলের জন্য রাখা ৩ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা ও এতিম শিক্ষার্থীদের জন্য উত্তোলিত দানবক্স থেকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা লুট করে। এছাড়া এতিমখানার তিনটি এসি, একটি ল্যাপটপ, একটি কালার প্রিন্টার, তিনটি আলমিরা, আইপিএস, সাউন্ড সিস্টেমসহ প্রায় ৮ লক্ষ টাকার বিভিন্ন সরঞ্জাম লুট করে ট্রাকযোগে নিয়ে যায়। এছাড়া ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দামের লোহা, সিমেন্টসহ বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে যাওয়া হয়। এছাড়া ইবাদতখানার কাচসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ভেঙে প্রায় দেড় লাখ টাকা ক্ষতি, এতিমখানা ভবন ভেঙে প্রায় ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিসাধন করে ভবনের বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে যায়। একই সঙ্গে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দামের একটি গরু নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ আনা হয়। ঘটনার পর মামলা করতে গেলে ক্ষমতাশীল হওয়ায় সেসময় মামলা নেয়নি বলে দাবি করা হয়।
রাউজান থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) সিদ্দিকুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, বাদি পক্ষ এজাহার দিলে থানার ওসি জাহিদ হোসেন মামলটি রেকর্ড করেন। মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীসহ ৪৩জনকে আসামি করা হয়। মামলটি রেকর্ডের পর তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।