চট্টগ্রামের রাউজানে পথেরহাটে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারীদের পূর্বঘোষিত সন্ত্রাস বিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে ফেরার পথে সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় প্রায় ১৫ জন আহত ও কর্মীবাহী দুটো গাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে।
২০ আগস্ট (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা ৬ টার দিকে উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের পথেরহাট এলাকার মিয়া মার্কেটের সম্মুখে এই ঘটনা ঘটে। রাউজান থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই নাফিজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এই ঘটনায় অভিযোগের প্রস্তুতি চলছে। আমরা তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এ ঘটনায় রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত আহত অবস্থায় ১০ জনকে রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রাউজান উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. নন্দন দাশগুপ্ত। তবে আহতের সংখ্যা বাড়ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। দু’একজনকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও ভর্তি করা হয় বলে জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, মঙ্গলবার দক্ষিণ রাউজানের নোয়াপাড়াস্থ ভারতেশ্বরী প্লাজার সামনে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারীদের পূর্বনির্ধারিত সন্ত্রাস ও নাশকতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে কর্মসূচি শেষে গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীর অনুসারীরা গাড়িবহরে ফেরার পথে নোয়াপড়ার পূর্ব পার্শ্বস্ত মিয়া মার্কেটের সামনে গাড়িতে উঠার সময় গতিরোধ করে দুটি হায়েস গাড়ি ভাঙচুর করে নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালানো হয়। এতে অন্তত ২০-২১ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেলেও সবার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায় নি।
আহতদের মধ্যে একজন রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়নের প্রবাসী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী জাগের বলেন, আমরা দুটো হাইস নিয়ে চট্টগ্রাম-নগরী হতে ফেরার পথে পথের হাটে একটি সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর সন্তান আসবে শুনে সেখানে দাঁড়ায়। পরে সমাবেশ শেষে ফেরার পথে সমাবেশস্থল হতে প্রায় ৪শত মিটার পূর্বে সন্ত্রাসীরা লাটোসোঠা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের গতিরোধ করে হামলা চালায়। হাইচ-দুটো ভাংচুর করে। আমাদের বেধড়ক মারধর করেন৷ আমাদের একটি হাইসে ৭ জন অপরটিতে ১৪ জন ছিলেন। প্রায় প্রত্যেকেই আহত হয়েছেন। ৩ জনের অবস্থা আশংকাজনক। এবং আহতদের অধিকাংশই রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বাসিন্দা। তারা চট্টগ্রাম মেডিকেল সহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছে। তিনি হামলাকারীদের বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারী বলে দাবী করেন।