জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় চট্টগ্রাম বন্দর ও চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়ক পণ্য পরিবহণের জন্য নিরাপদ বলে আশ্বাস দিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। আজ বুধবার বিকেলে সার্কিট হাউজে বিভিন্ন পণ্য পরিবহণ সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে আয়োজিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ আশ্বাস দেন।
তিনি বলেন, দেশের স্বাভাবিক অবস্থা দ্রুত ফিরিয়ে আনতে জেলা প্রশাসন বদ্ধ পরিকর। ৩০ হাজার শ্রমিক নিয়ে কোরিয়ার ইপিজেড, আড়াই লাখ শ্রমিক নিয়ে কর্ণফুলী ও চট্টগ্রাম ইপিজেড ইতোমধ্যে চালু হয়ে গেছে। এ জেলায় ৫’শ গার্মেন্টেসের প্রায় সবগুলোই উৎপাদনে চলে গেছেন।
সভায় বিভিন্ন পণ্য পরিবহণ সমিতির প্রতিনিধিরা ড্রাইভারসহ পণ্য পরিবহণের সাথে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকগণ কারফিউ চলাকালীন সময়ে চলাচলের ব্যাপারটি উল্লেখ করলে জেলা প্রশাসক তাদের পরিচয় পত্র কিংবা ড্রাইভিং লাইসেন্সকে কারফিউ পাস হিসেবে বিবেচনা করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেন। একইসাথে যানবাহনের প্রাথমিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে শ্রমিক ও ড্রাইভারসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেতন থাকার ব্যাপারে নির্দেশনা দেন ডিসি ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, মহাসড়কে অধিকতর নিরনাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনে বিভিন্ন জেলা প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে সমন্বয় সেল গঠন করা হবে। পণ্য পরিবহণের ড্রাইভারদের জন্য মহাসড়কে সীমিত আকাওে খাবার হোটেল চালু রাখার ব্যাপারেও উদ্যোগ নেবেন বলে জানান তিনি।
সভায় উপস্থিত জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) একেএম গোলাম মোর্শেদ খান নিরাপত্তা নিশ্চিতে একাধিক ট্রাক একসাথে কনভয় আকারে চলাচল করার পরামর্শ দেন। একইসাথে যে কোন প্রয়োজনে জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুমে (০২-৪১৩৬০৬০৪) যোগাযোগের ব্যাপারে নিদেশনা দিয়েছেন এডিএম।
সভায় উপস্থিত বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আবদুল মন্নান বলেন, ছাত্রদের বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালীন সময়ে সাধারণ ছাত্রদেরকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে স্বাধীনতা বিরোধী চক্র সারাদেশে তান্ডব চালিয়ে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ভাংচুরসহ শতশত গাড়িতে আগুন দিয়েছে। তবে চট্টগ্রাম ব্যতীত রাজধানী ঢাকাসহ প্রায় জেলায় কিছু কিছু পণ্য পরিবহণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার বাধ্য হয়েই কারফিউ ঘোষনা করায় বর্তমানে দেশের পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে শান্ত হয়ে আসছে। বিজিবি, এনএসআই, ডিজিএফআই, সেনাবাহিনী, পুলিশ, নৌ-বাহিনী, কোস্টগার্ড, বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
বন্দর ও চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়ক পণ্য পরিবহণের জন্য নিরাপদ : ডিসি
নিজস্ব প্রতিবেদক