আদিকাল থেকেই কন্যা শিশুরা পরিবার এবং সমাজে অবহেলিত হয়ে আসছে। প্রথমে নিজ পরিবার থেকেই অবহেলার শিকার হয় কন্যা শিশুর। একটি কন্যা সন্তানের জন্ম অপেক্ষা একই পুত্র সন্তানের জন্ম অনেক বেশি আকাঙ্খিত । লক্ষ্য করলে দেখা যায় কোন পরিবারেই একটা ছেলে ও একটা মেয়ে থাকলে ছেলেটাই সবকিছুতে বেশি সুযোগ সুবিধা ভোগ করে। ছেলেদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করার যে মানসিকতা বাবা-মার থাকে তদ্রুপ মানসিকতা একজন কন্যা সন্তানের জন্য থাকে না। কন্যা সন্তানকে বড় করে বিয়ে দিয়ে দিতে পারলেই যেন বাবা-মার সব দায়িত্ব শেষ ।কিন্তু কন্যা সন্তানেরা যদি উপযুক্ত সুযোগ সুবিধা পায় তাহলে তারাও মেধা ও যোগ্যতা অনুসারে কর্মের মাধ্যমে পরিবারের হাল ধরতে পারে। বর্তমানে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখা যায় মেয়েরা ছেলেদের তুলনায় এগিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষা গুলোতেও লক্ষ্য করলে দেখা যায় মেয়েরা ছেলেদের তুলনায় অধিকাংশ সময়ে এগিয়ে থাকে। তথাপি আমাদের সমাজ এখনো কন্যা সন্তানকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করতে আগ্রহী নয়। কিন্তু কন্যা শিশুদের সুশিক্ষিত করার জন্য যদি ভালো বিনিয়োগ করা হয় তাহলে তারাও একজন সুশিক্ষিত মহীয়সী নারী ও আদর্শ মায়ের ভূমিকা পালন করতে পারবে।
কথিত আছে আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও আমি তোমাকে একটি শিক্ষিত জাতি দেব। কিন্তু একজন শিক্ষিত মা হতে গেলে কন্যা সন্তানদের যে সকল সুযোগ সুবিধা প্রয়োজন তা সব পরিবার থেকে কন্যা শিশুরা পাই না।একজন সুশিক্ষিত নারী পরিবার সমাজ ও দেশের সম্পদ।পরিপূর্ণ সুযোগ পেলে কন্যা শিশুরাও সবকিছু জয় করতে পারে এবং পুরুষের মতো সমাজকে আলোকিত করতে পারে । তাই ছোটবেলা থেকে কন্যা শিশুর যত্ন নিতে হবে । মেয়েদের অবশ্যই উচ্চশিক্ষিত করার লক্ষ্যেপ্রতিটি পরিবার থেকে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ছোটবেলা থেকে সঠিক যত্ন পেলে কন্যা সন্তান পরিবারের বোঝা না হয়ে সম্পদে পরিণত হতে পারে। একজন সুশিক্ষিত নারী পারে পাল্টে দিতে একটি পরিবার ও সমাজকে, তাই কন্যা সন্তান কখনোই সমাজের বোঝা নয় বরং আশীর্বাদ স্বরূপ।
কন্যা সন্তান সমাজের বোঝা নয় বরং আশীর্বাদ
সিমলা চৌধুরী