মাস-পাঁচেক পূর্বে প্রবাসী পিতার কলেজ পড়ুয়া একমাত্র পুত্র মো. ইমনের (২১) শখ মিটাতে পরিবার হতে কিনা দেওয়া হয়েছিল মোটরসাইকেল। সেই শখের মোটরসাইকেলে করে বন্ধুকে সাথে নিয়ে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে ওভারটেক করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চলে গেলেন চলন্ত বাসের নিচে। ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেল আরোহী মো. ইমনের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত বন্ধু মো. সামির (২০) বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছে। ২ জুন (রবিবার) বেলা ১২টার দিকে রাউজান উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের গঙ্গা মন্দিরের সম্মুখে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে এমন হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটে। নিহত মো. ইমন কুয়াইশ বুড়িশ্চর শেখ মোহাম্মদ সিটি কর্পোরেশন কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী এবং রাউজান উপজেলার পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শেখ মনছুর আলীর বাড়ির সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলমের একমাত্র ছেলে।
রাউজান থানার পূর্বগুজরা তদন্ত কেন্দ্রের এসআই মো. আরিফ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পাহাড়তলীমুখী মোটরসাইকেল (চট্ট মেট্রো ল- ১২- ৫১৩৯) আরোহী দুই যুবক ওভারটেক করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কাপ্তাই হতে ঢাকাগামী হানিফ পরিবহন একটি বাস (ঢাকা-মেট্রো-ব ১৪-১৪১২) নিচে চলে যায়। এতে মো. ইমন নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। গাড়ি দুটি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য উদয় দত্ত অর্ক বলেন, দ্রুতগতির বেপরোয়া মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চলন্ত বাসের নিচে চলে যায়। তবে, বাস যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণে থাকায় ওদের গায়ের উপর বাসের চাকা না উঠলেও সজোরে আঘাত পাওয়ায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের বাসের নিচ হতে স্থানীয়রা উদ্ধার করে পথেরহাটের পাইওনিয়ার হাসপাতালে নেওয়া হলে মো. ইমনকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন এবং আহত অপরজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জগদীশ বড়ুয়া ও নিহতের নিকটাত্মীয় জানান, নিহত মো. ইমন পরিবারের একমাত্র অতি আদরের পুত্র সন্তান ছিল। তিনি ছাড়া তার দুই বোন রয়েছে। তার পিতা আবুধাবি প্রবাসী৷ কলেজ পড়ুয়া পুত্রের শখ মেটাতে মাস-পাঁচেক পূর্বে মোটরসাইকেলটি কিনে দেওয়া হয়েছিল। সেই শখের মোটরসাইকেল শেষমেশ যমদূত হয়ে দেখা দিল।