বান্দরবান জেলার লামা উপজেলায় পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় ইক্ষু ও সাথী ফসল সহ উন্নত পদ্ধতিতে গুড় উৎপাদন কৃষক প্রশিক্ষণ উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় সুগারক্রপ চাষাবাদ জোরদার করণ প্রকল্পের আওতায় এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
বুধবার (২৯ মে) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রথম ব্যাচে উপজেলার ৬০জন উপকারভোগী কৃষকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত ইক্ষু ও সাথী ফসল চাষ প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি ছিলেন-পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান ও প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ। প্রকল্পের কনসালটেন্ট কৃষিবিদ ক্যছেন ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এতে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুগারকেন সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সুজন দে ও প্রকল্পের জুনিয়র কনসালটেন্ট বসন্ত কুমার তঞ্চঙ্গ্যা ও বৈজ্ঞানিক সহকারী উচিং চৌধুরী প্রমুখ। একই দিন দুপুরের পর দ্বিতীয় ব্যাচেও অনুষ্ঠিত হয় উন্নত পদ্ধতিতে আখের গুড় উৎপাদন সহ ইক্ষু ও সাথী ফসল চাষ প্রশিক্ষণ। এতেও অংশ গ্রহণ করেন উপজেলার ৬০জন উপকারভোগী কৃষক। এর আগে ২৮ মে পাশের আলীকদম ও ২৭ মে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় এ চাষের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
এ বিষয়ে প্রকল্পের কনসালটেন্ট কৃষিবিদ ক্যছেন বলেন, ইক্ষু চাষ করেই কাজ শেষ নয়, লামা উপজেলায় ব্যাপকহারে তামাক চাষ হচ্ছে। এ চাষ মাটি, পরিবেশ ও মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তাই পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় সুগারক্রপ চাষাবাদ জোরদার করণ প্রকল্পের আওতায় ইক্ষু চাষের প্রকল্প গ্রহণ করে সরকার। তিনি আরও বলেন, তামাক চাষের তুলনায় ইক্ষু চাষে খরচ ও পরিমশ্রম অনেক কম। আর লাভও দ্বিগুন। এছাড়া ইক্ষুর শিকড় থেকে পাতা পর্যন্ত সবই মানুষের উপকারে আসে। তাই সবাইকে নিজের, পরিবেশের ও দেশের কথা চিন্তা করে তামাক চাষ পরিহার করে বিকল্প ইক্ষু চাষে এগিয়ে আসতে হবে। এ ধারাবাহিকতায় কৃষকদের আরও বেশি আগ্রহী করতে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন। এক সময় এ ইক্ষু শিল্পতে রুপান্তরিত হবে বলেও জানান কৃষিবিদ ক্যছেন।