ঘূর্ণিঝড় রেমালের মোকাবিলায় চট্টগ্রামে প্রস্তুত করা হচ্ছে ৫০০টি আশ্রয়কেন্দ্র। প্রস্তত করা হয়েছে ২৯০টি মেডিকেল টিম। গতকাল শনিবার রাত জরুরি সভায় বসে এসব সিদ্ধান্ত নেন জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি। এদিকে চট্টগ্রামের ৯টি স্টেশনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করে ২৭০ জনকে প্রস্তুত রেখেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। এছাড়া নগরের আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে চালু করেছে বিশেষ কন্ট্রোল রুম।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসান জানান, প্রায় পাঁচ শতাধিক আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হচ্ছে। ২৯০টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রামের উপকূলবর্তী সকল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বারদের সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক দিনমনি শর্মা বলেন, চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকায় ফায়ার সার্ভিস কাজ শুরু করে দিয়েছে। ঝড় শুরু হওয়ার আগে নিরাপদ স্থানে অবস্থান নেওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। এছাড়া নগরের কোথাও এখনো কার্যক্রম শুরু হয়নি। অবহাওয়ার অবস্থা দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করে ৯ টি স্টেশনের মোট ২৭০ জন কর্মী প্রস্তুত আছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি আজ রাতেই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এর নাম হবে ‘রেমাল’। আজ শনিবার দিবাগত গভীর রাতে এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে।
বলা হয়েছে, গত ছয় ঘণ্টায় ১৫ কিলোমিটার বেগে উত্তর এবং উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়েছে নিম্নচাপ। গভীর নিম্নচাপ আরও উত্তর দিকে সরবে। শনিবার সন্ধ্যায় সেখান থেকে তৈরি হবে ঘূর্ণিঝড়। যা সাগরেই শক্তি বাড়িয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। আরও উত্তরে সরে এসে রাতে এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে বাংলাদেশের খেপুপাড়া এবং পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপের মধ্যবর্তী অংশে। স্থলভাগে প্রবেশের সময়ে ঘূর্ণিঝড়ের গতি থাকবে ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। হাওয়া বইতে পারে ১৩৫ কিলোমিটার বেগেও।
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল
ঘূর্ণিঝড় রেমাল : প্রস্তুত ৫০০ আশ্রয়কেন্দ্র, ২৭০ মেডিকেল টিম
নিজস্ব প্রতিবেদক