ফটিকছড়িতে শান্তুিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। কয়েকটি কেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া কোন ধরনের অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটেনি। ৮ মে সকাল আটটায় একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ভোট গ্রহণ চলে বিকেল চারটা পর্যন্ত।
সকালের দিকে বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ছিল কম। ফটিকছড়ি ডিগ্রী কলেজ,রাঙ্গামাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,উত্তর রাঙ্গামাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,ফটিকছড়ি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,মাইজভাণ্ডার আহমদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়,কিপায়াতনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,হারুয়ালছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,দাঁতমারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,জুজখোলা সরকারী প্রাথমাক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন কেন্দ্রে গিয়ে ভোটারদের উপস্থাতি তেমন দেখা যায়নি। অনেক কেন্দ্র ফাঁকা লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে মহিলা ভোটারদের উপস্থিতি তেমন পরিলক্ষিত হয়নি। কোথাও কোথাও ১ ঘণ্টায়ও বাক্সে কোনো ভোট পড়েনি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা বাড়লেও দুপুরের পর বিভিন্ন কেন্দ্র একেবারেই ফাঁকা দেখা যায়। মধ্য হারুয়ালছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে স্বজনদের সাথে ভোট দিতে আসেন ৬০ বছর বয়সী শহরবানু। তিনি পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন বলে জানান।
এদিকে নানুপুর গাউছিয়া মাদ্রাসা,সুয়াবিল বোর্ডস্কুল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,সমিতিরহাট উচ্চ বিদ্যালয় ও লেলাং শাহা নগর স্কুল কেন্দ্র আনারস ও মোটারসাইকেল প্রতীকের কর্মী সমর্থকদের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। সাংসদ খাদিজাতুল আনোয়ার সনি এমপি নিজ কেন্দ্র নানুপুর গাউছিয়া মাদ্রাসায় পরিবার নিয়ে ভোট দেন। ভোটে প্রদান শেষে তিনি বলেন,প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যনে এটি এম পেয়ারুল ইসলাম কিপায়াতনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট প্রদান করেন। ভোট প্রদান শেষে তিনি বলেন,শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ শান্তি বজায় রাখতে সকলকে সহযোগীতা করতে হবে। চেয়ারম্যন পদে দুজনই দলের প্রার্থী। যে জিতবে যে হারবে দুজনকেই অগ্রিম অভিনন্দন লেলাং গোপালঘাটা উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ভোট প্রদান করেন চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম উদ্দীন মুহুরী ও ধর্মপুর নিজ কেন্দ্রে ভোট প্রদান করেন চেয়ারম্যন প্রার্থী বখতেয়ার সাঈদ ইরান। দুজনই জয়ের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উপজেলা নির্বাচন অফিসের তথ্যানুযায়ী, ফটিকছড়ি উপজেলা মোট ভোটার সংখ্যা ৪লক্ষ ৬৪হাজার ৬শত ৭ জন। পুরুষ ভোটার সংখ্যা ২লক্ষ ৪৫হাজার ৯শত ৩৮ জন।মহিলা ভোটার সংখ্যা ২লক্ষ ১৮হাজার ৬শত ৬৭ জন। হিজরা সংখ্যা ২ জন। মোট ভোট কেন্দ্র ১৪২টি। প্রত্যেক কেন্দ্রকে অতি গুরত্বপূর্ণ হিসেবে নেওয়া হয়েছে। বোথ ১হাজার ২টি।প্রিসাইডিং কর্মকর্তা১ শত ৪২ জন।সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ১ হাজার ২ জন। পুলিং কর্মকর্তা ২ হাজার ৪ জন । র্যাব ১পাল্টুন,বিজিবি ৬পাল্টুন, পুলিশ ১ হাজার,আনসার ২ হাজার,নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট-২৬ জন, বিজিবি স্টাইকিং ফোর্সেস, পুলিশ স্টাইকিং ফোর্সেস মাঠে কাজ করছেন। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন এর জন্য নির্বাচন কমিশন বদ্ধ পরিকর বলে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরী। নির্বাচনে লড়ছেন ৮ জন প্রার্থী। চেয়ারম্যান পদে ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দীন মুহুরী (মোটরসাইকেল) প্রতিক এবং উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক ছাত্র নেতা মুহাস্মদ বখতেয়ার সাঈদ ইরান (আনারস) প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান জেবুন্নাহার মুক্তা (প্রজাপতি) ও আওয়ামী লীগ নেত্রী শারমিন আক্তার নুপুর (ফুটবল) নিয়ে প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন। পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট সালামত উল্লাহ চৌধুরী শাহীন (বই) , ফটিকছড়ি পৌরসভা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: জসিম উদ্দিন (টিউবওয়েল), সৈয়দ জাহেদুল্লাহ কৌরাইশী (তালা) ও নাজিমুদ্দিন সিদ্দিকী (চশমা) প্রতীক নিয়ে লড়ছেন। এখন অপেক্ষারপালা বিজয়ের মালা কারা পড়তে যাচ্ছেন?