ভারত মহাসগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত হওয়া জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ বর্তমানে বাংলাদেশের জলসীমায় রয়েছে। সোমবার কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার বহির্নোঙরে প্রবেশ করবে জাহাজটি।
শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কবির গ্রুপের (কেএসআরএম) মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম।
তিনি বলেন, বর্তমানে জাহাজটিতে প্রায় ৫৬ টন পাথর রয়েছে। আরো দুদিন আগেই জাহাজটি বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করে। সোমবার এমভি আবদুল্লাহ কুতুবদিয়ার বহির্নোঙরে প্রবেশ করবে। সেখানে কিছু পণ্য (পাথর) খালাস করা হবে। সেই কার্যক্রম শেষ করতে দুদিন সময় লাগতে পারে। এরপর জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরের উদ্দেশে রওনা দেবে।
মিজানুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে জাহাজটিতে ২৩ জন নাবিক রয়েছেন। তারা চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানোর পর খালাস কার্যক্রমসহ সব কর্মকাণ্ড শেষ করবে। এরপর সংবর্ধনা, সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভাসহ কিছু আনুষ্ঠানিকতার আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
মেরিটাইম ট্রাফিকের ওয়েবসাইটে এমভি আবদুল্লাহ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছার সম্ভাব্য সময় দেখানো হচ্ছে ১৪ মে।
এর আগে, ১২ মার্চ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে সোমালিয়া উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। অস্ত্রের মুখে জাহাজসহ ২৩ নাবিককে জিম্মি করে দস্যুরা। নানা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে দিয়ে ৩৩ দিন পর ১৩ এপ্রিল রাত ৩টার দিকে জলদস্যুরা জাহাজ ছেড়ে চলে যায়। এরপর গন্তব্য দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয় জাহাজটি।
১৪ এপ্রিল দুপুরে এমভি আবদুল্লাহর চিফ অফিসার আতিকুল্লাহ খানের দেওয়া ফেসবুক পোস্টের একটি ছবিতে মুক্ত নাবিকদের পাশে অপারেশন আটলান্টার কমান্ডোদের দেখা যায়। ১৫ এপ্রিল বিকেলে ইইউএনএভিএফওআর অপারেশন আটলান্টা মিশন তাদের টুইট বার্তায় এমভি আবদুল্লাহকে পাহারা দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার ছবি প্রকাশ করে।
এমভি আবদুল্লাহ শুরুতে যায় সংযুক্ত আর আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরে। সেখানে জাহাজে থাকা কয়লা খালাস করা হয়। এরপর ঐ বন্দরেই পণ্য লোডের পর মিনা সাকার বন্দরে যায় এমভি আবদুল্লাহ। সেখান থেকে আরব আমিরাতের ফুজাইরা বন্দরে থেমেছিল জ্বালানি নিতে।