টানা দেড় ঘন্টার ঝরো হাওয়ায় গাছপালা ও বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জেলার বিভিন্ন এলাকার অফিস, দোকান ও বাড়িঘর। এমনকি বন্ধ হয়েছে মহাসড়কের যান চলাচলও।
নগরীর খুলশীর জাকির হেসোন রোডে এমইএস কলেজ এলাকায় ট্রান্সফরমারসহ বৈদ্যুতিক খুঁটি ও গাছ উপড়ে পড়ে বন্ধ হয়ে আছে বিদ্যুৎ সরবরাহ ও যানচলাচল। সোমবার বিকাল সাড়ে তিনটার সময় শুরু হওয়া বৃষ্টি ও কালবৈশাখী বাতাসে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় সন্ধ্যা ছয়টার সময়ও উপড়ে পড়া গাছ কেটে রাস্তা পরিষ্কার করছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
এদিকে নগরীর কাজীর দেউড়ি, সিআরবিসহ বিভিন্ন স্থানে রাস্তায় গাছ উপড়ে পড়ে ভোগান্তিতে পড়েছে পথচারীরা। এসব জায়গায়ও কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন।
দুপুর তিনটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টাব্যাপী ৯৭ দশমিক ৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতে জলজটের সৃষ্টি হয়েছে নগরীর ইপিজেড, সল্টগোলা, বন্দর, নিমতলা, বারিক বিল্ডিং আগ্রাবাদ, চৌমুহনী, দেওয়ানহাট, আগ্রাবাদ, জিইসি, ২ নম্বর গেট, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, নতুন ব্রিজ, চকবাজার, পাঁচলাইশ এলাকায়।
কালবৈশাখী ঝড়ে এবং হঠাৎ দমকা হাওয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পৌরসভাস্থ পন্থিছিলা এলাকায় পাঁচটি বড় ধরনের গাছ ভেঙে পড়ে মহাসড়কে যান চলাচল প্রায় এক ঘন্টা বন্ধ ছিল।
এতে করে ঢাকামুখী ও চট্টগ্রামমুখী সড়কে আটকা পরে অসংখ্য যাত্রীবাহী বাসসহ বিভিন্ন ধরনের যান। খবর পেয়ে সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয়দের সহায়তায় প্রায় এক ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে মহাসড়ক থেকে গাছগুলো সরিয়ে ফেলে। পরে যান চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক হলেও মহাসড়কের রাস্তার উভয় পাশে যান চলাচল করে অতি ধীর গতিতে।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম শহরে টানা দেড় ঘন্টার বৃষ্টিতে নগরের জিইসি মোড়, ২ নম্বর গেইট, আলফালাহ গলি, শেরশাহ, টেক্সটটাইল, রুবি গেইট, রহমান নগর, ওয়াসা মোড়, লালখান বাজারের মতিঝর্ণা, মুরাদপুর, চকবাজারের বাদুরতলা, জঙ্গিশাহ মাজারসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তা পানিতে ডুবে যায়। লালখান বাজার, ডিসি হিল, আমবাগানসহ পাহাড়ের পাশের এলাকাগুলোতে ঢল নামে। আরও ডুবে গেছে নগরের আগ্রাবাদ, চৌমুহনী, কমার্স কলেজ রোড়সহ আশেপাশের এলাকা। নগরের খালগুলো পানিতে টুইটুম্বুর হয়ে যায়। বায়েজিদ ফৌজদারহাট লিংক রোড়ে পাহাড় ধ্বসে সড়কে পড়েছে। সাময়িকভাবে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে ডুবে যাওয়া এলাকা থেকে দ্রুত পানি নেমে পড়বে বলে আশা করছেন নগরবাসী।