শ্রমিক -মালিক সু সম্পর্ক ই পারে আদর্শ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে। সুষম বণ্টন নীতিমালার মাধ্যমে ন্যায় নীতি বাস্তবায়ন সম্ভব। বাংলাদেশ সহ সারা দুনিয়ায় শ্রমের মর্যাদা এখনো ভুলন্টিত। শ্রমিক কাজ করে ন্যায্য পরিশ্রম পায়না। ৮ ঘন্টা ১২ ঘন্টা কাজ করেও নিজের ও পরিবারের পেটে দু বেলা অন্ন দিতে পারেনা। ভালো জায়গায় একটি বাসায় থাকা সম্ভব হয়না। স্ত্রী সন্তান পরিবারের সদস্যদের জন্য প্রয়োজন পুরণ করা সম্ভব হয়ে উঠে না।এক জন দোকান কর্মচারী সারাজীবন কর্মচারীই থেকে যায়। মালিক হতে পারে না। আর সেই কর্মচারির শ্রমের বনিময়ে মালিক বছর ঘুরে নতুনভাবে আরেকটি দোকান মার্কেটের মালিক হয়।শিল্পপতি শ্রমিকের আয়ের উপর ভার করে বিশাল কোটিপতি হয়। সি আই পি উপাধি অর্জন করে। রাষ্ট্র তাকে স্বাগত আর সন্মান দেয়। শ্রমিকের পরিশ্রমে শিল্প পতি আর রাষ্ট্রের উন্নয়ন হলেও শ্রমিকের ভাগ্যর পরিবর্তন হয়না।যে মানুষ গুলো দিন রাত পরিশ্রম করে সমাজ ও রাষ্ট্রকে দাঁড়িয়ে রাখছে তাদের প্রতি অন্যায় অবহেলা অসম্মান কোনো ভাবেই মেনে নেয়া যায়না।উৎপাদন বিপনন বাজার জাত সবকিছুর মধ্যে প্রমিকের ন্যায্য অধিকার থাকা চাই। মালিক যে ভাবে বছর ঘুরে,আরো নতুন ব্যবসার মালিক হচ্ছে , একই ভাবে যার শ্রমে শিল্প ব্যাবসা গড়ে উঠছে সেই শ্রমিকের কি পরিস্থিতি সেই মানসিকতা এখনো আমাদের সমাজ জীবনে প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি।ফলে আমাদের উৎপাদন ব্যবসা আর সফলতায় ঘাটতি লেগেই আছে। মে দিবস আসলে বিভিন্ন সংগঠন প্রতিষ্ঠান শ্রমিকের পক্ষে কথা বলে। একদিনের কমর্সুচী আর দাবি দাওয়া তুলে ধরে প্রতিকি কর্মসূচিতেই শেষ।শ্রমিকের ভাগোর কোনো কুল কিনারা নেই। শ্রমের ঘাম না সুকাতেই তার মজুরি পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। এখন সেই দৃষ্টান্ত আমরা দিতে পারিনা। অসংখ্য মালিক যারা শ্রমিকের পাওনা পরিশোধ না করে কোটিপতির কাতারে নাম লিখেছে। আমাদের দেশে বহু শিল্প পতি শ্রমিকের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে উধাও হওয়ার নজির রয়েছে। ওই প্রকারের মালিক আবার শ্রমিকের জন্য কান্না কাটি করতেও দেখতে পাওয়া যায়। বাস্তবতা হলো ভিন্ন। বাস্তবতা বড়ো কঠিন বিষয়। দুনিয়া জুড়ে শ্রমিকের মাথার ঘাম পায়ে ফেলে অর্জিত সাফল্য ভোগ করেন মালিক পক্ষ। আর পক্ষান্তরে ঘাম পেলেন শ্রমিক। স্বাধীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় যার অবদান সে অবহেলিত। আসুন মালিক- শ্রমিক এক কাতারে শামিল হই। মালিকের আনন্দ বিনোদন, প্রয়োজন আর শ্রমিকের অধিকার যেনো তলানিতে না গিয়ে দাঁড়ায়। মিল কারখানা কর্মখেত্রে শ্রমিকের জীবন জীবিকার নিরাপত্তার ব্যবস্হা নিশ্চিত করা চাই। পর্যাপ্ত আলো বাতাসের পরিবেশ রেখে কর্মকেত্র তৈরী করতে হবে। রাত- দিন ৮ ঘন্টার উপর কর্ম নয়। কর্মস্থলে বিশ্রামের সময় ও ব্যবস্হা রাখতে হবে। বেতন ভাতা বোনাস যাবতিয় অধিকার নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে শোধ করতে হবে। কথায় কথায় শ্রমিক চাটাই বন্ধ করতে হবে। বোনাস সহ শ্রমিকের পাওনা সঠিক সময়ে পরিশোধ করতে হবে। মিল কারখানার নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে। শ্রমিকের কাজের ফাঁকে আহার ও টিফিন স্বাস্থ্য সম্মত ভাবে রাখতে হবে। সাপ্তাহিক, মাসিক,বাৎসরিক ছুটি ও বিনোদনের জন্য সময় দিতে হবে। জাতীয় আন্তর্জাতিক নীতিমালা অনুযায়ী শিল্প কলখানা চালাতে হবে। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ও আইন অনুসরণ করে মিল কারখানা পরিচালনা করার মাধ্যমে শ্রমবান্ধব দিবস পালনকরি। জাতীয় অর্থনীতির সাফল্য Aর্জনে মালিক শ্রমিক সুখে দুখে সাথি হই। আমরা যা করি তা বলিনা। যাহা বলি তাহা করিনা। হোটেল,মোটেল, রেষ্টুরেন্টে প্রমিকের কোনো ছুটি দেয়া হয়না। শিশু শ্রমিকের কাজ দেখা যায়, দোকান, কলকার খানা, গন পরিবহণ ও বাসা বাড়ির মধ্যে। তাদের প্রতি যত্ন নিতে মালিক পক্ষ কে দেখা যায়না। তারা ঠিক মতো বেতন ভাতাও পায়না। প্রমিকের অধিকারের কথা সংবিধান আর নীতির কথায় থাকলেও বাস্তবে সঠিক স্থানে বাস্তবায়ন নাই।শ্রমিকের ঘামে পৃথিবী ও সমাজ ঠিকে আছে।তাদের উৎপাদন আর কর্ম নিয়ে আদর্শ সমাজ।তাই তাদের প্রতি ভালো বাসা দিতে না পারলে সমাজ বেশি দিন ঠিকে থাকবেনা। ভাত, তরকারি, মাছ মরিচ, কৃষির সমস্ত পন্য তারা উৎপাদন করে।শিক্ষিত সমাজ শুধু ভোগ করছে। উৎপাদন করা যদি কৃষকেরা ছেড়ে ছেড়ে দেন তাহলে সমাজের কি অবস্থা দাঁড়াবে আমরা কি ভেবে দেখেছি। সমাজের সব পেশার মানুষকে কম বেশি কৃষি উৎপাদনের সাথে সম্পৃক্ত থাকা চায়। কৃষি ছাড়া সমাজ বাঁচতে পারেনা। বড়ো বড়ো অফিসারের সাথে কৃষি ও রপ্ত করা চাই। তাহলে আর আমাদের কে প্রচুর পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করে খাদ্য আমদানি করতে হবে না। যে কোনো ভাবে শ্রমের অধিকার , মর্যাদা রক্ষা করতে হবে। কৃষি সহ খাদ্য সামগ্রীর উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। আসুন! সামাজিক শৃংখলা প্রতিষ্ঠায় শ্রম মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসি।