সুপ্রাচীন থেরবাদ বৌদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ বৌদ্ধ ভিক্ষু মহাসভার অধীনস্থ রাউজান উপজেলার ঐতিহ্যবাহী খৈয়াখালী রত্নাঙ্কুর বিহারে প্রথম বারের মতো ১২৪৮ ঘন্টাব্যাপী অবিরত পূর্ণাঙ্গ ত্রিপিটক পাঠের সমাপ্তি, দন্ডায়মান বুদ্ধ প্রতিবিম্ব’র অভিষেক, ৬ষ্ঠ সংগীতিকারক, ২২তম সংঘনায়ক চন্দ্ৰজ্যোতি ৫৮তম মহাপ্রয়াণ বার্ষিকী, বিষয় ভিত্তিক একক সদ্ধর্ম দেশনা সহ নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে সম্প্রীতির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে স্মৃতিভাস্বর শীলাভদ্র মহাথেরকে চন্দ্ৰজ্যোতি শান্তি স্বর্ণপদকে মনোনীত করা হয়।
১ মে (বুধবার) বিহার প্রাঙ্গণে সংঘনায়ক ড. এস ধর্মপাল মন্ডপে খৈয়াখালী রত্নাঙ্কুর বিহার পরিচালনা কমিটির ব্যবস্থাপনায় কমিটির সভাপতি সুমঙ্গল থেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্ৰধান সদ্ধর্মদেশক ছিলেন খৈয়াখালী ধম্মাবিজয়ারাম বিহার অধ্যক্ষ উ পঞ্ঞা চক্ক মহাথের। স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত লেখক ও গবেষক অধ্যাপক বনশ্রী মহাথেরের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ যুব’র সভাপতি ব্রহ্মান্ড প্রতাপ বড়ুয়া রিপন। প্রধান জ্ঞাতি ছিলেন সদ্ধর্মরশ্মি রতনশ্রী মহাথের।
উদ্বোধক ছিলেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ যুব’র চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী ঝুলেন বড়ুয়া। স্বাগত বক্তব্য রাখেন খৈয়াখালী কিশোর সংঘের সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক দিলীপ বড়ুয়া। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ ভিক্ষু মহাসভার সভাপতি শাসনতিলক সুনন্দ মহাথের, সিনিয়র সহ সভাপতি সদ্ধর্মরত্ন জ্ঞানানন্দ মহাথের, সহ সভাপতি অধ্যাপক বিপুলানন্দ মহাথের, বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সিনিয়র সহ সভাপতি ধর্মসেনাপতি রাজগুরু অভয়ানন্দ মহাথের, সদ্ধর্মভান্ডরিক ড. প্রিয়দর্শী মহাথের শাসনরত্ন সুমিত্তানন্দ থের। সভায় প্রাচীন স্থবির, মহাস্থবিরের অবদান শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া সভায় অষ্টবিংশতি বুদ্ধপূজা, লাভীশ্রেষ্ট অর্হৎ সীবলী মহাথের পূজা, মারবিজয়ী অর্হৎ উপগুপ্ত মহাথের পূজার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের মধ্যাহ্ন বিরতিতে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ৫৩ দিন অবিরত পূর্ণাঙ্গ ত্রিপিটক পাঠের সমাপনী দিবসে চট্টগ্রামসহ আশেপাশের জেলা হতে পণ্ডিত, প্রাজ্ঞ, মহান ভিক্ষুসংঘ, বিদগ্ধ সুধীবৃন্দ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ পূর্ণার্থী ও দায়ক-দায়িকাবৃন্দের মহাসমাগম ঘটে।