বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী ফটিকছড়ি উপজেলার ১ নং বাগানবাজার ইউনিয়ন। নানা কারনে এ ইউনিয়ন আলোচনায়। বিশেষ করে আধিপত্য বিস্তারে এ ইউনিয়ন হামলা-মামলায় আতংকের ইউনিয়নে পরিনত হচ্ছে। অস্তির হয়ে উঠছে সাধারনের জীবন যাপন। এদিকে বাগানবাজারে অবস্থিত পশুর হাট উপজেলার বড় পশুর হাটের মধ্যে একটি। গতকাল শুক্রবার ছিল এ হাটের সাপ্তাহিক পশুর হাট। হাটের দিনও এ হাটে উঠেনি কোনো গরু-ছাগল। জানা যায়, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, খাগড়াছড়ি, বগুড়াসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রচুর ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ এ বাজারে গরু-ছাগল ক্রয় ও বিক্রয় করার জন্য আসেন। সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার ও রবিবার বাগানবাজারে এ পশুর হাটটি বসে।
তবে গতকাল শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাটে কোন গরু- ছাগল বা কোন পশুই উঠেনি। নেই আগের মত জমজমাট বাজারের আয়োজন। ফলে ইজারাদার এবং ব্যবসায়ীদের লাখ লাখ টাকার লোকসান হয়েছে বলে জানান। বাজারে চাঁদাবাজির অভিযোগে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন বাজারটির ইজারাদার আমজাদ হোসেন সরকার। তিনি বলেন, বাজারটি আমি ৮০ লাখ ১০ হাজার টাকা দিয়ে টেন্ডারের মাধ্যমে সরকারের কাছ থেকে ইজারা নিয়েছি। কিন্তু এখানে এখন স্থানীয় সন্ত্রাসীরা আমাদের কাছে চাঁদা দাবি করছে। বাজারে কেউ গরু নিয়ে আসলে বাধা দিচ্ছে। দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তারা রাস্তায় সবাইকে ভয়ভীতি দেখিয়ে এ বাজার বন্ধ করে রেখেছে। সরকারকে এত টাকা দিয়ে আমি ইজারা নিলাম কিন্তু সন্ত্রাসীরা এসবের কিছুকে পরোয়া না করে তারা বাজারটি বন্ধ করে রেখেছে।
ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসককে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি এবং ইউএনওকে বিষয়টি জানিয়েছি। বাগানবাজারের আরো একটি ইজারাকৃত চিকনছড়া বাজারের ইজারাদার মো. ওমর ফারুকও একই অভিযোগ করেন। তিনি এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন। বাগানবাজারের সাবেক ইজারাদার মো. অলি উল্যাহ চৌধুরী বলেন, প্রায় ২ হাজার মানুষের জীবন জীবিকা এই বাগানবাজারের উপর নির্ভরশীল। এই বাজার বন্ধ হলে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সরকারও বিরাট অংকের একটি রাজস্ব হারাবে। জানতে চাইলে বাগানবাজার ইউপি চেয়ারম্যান মো. সাজু বলেন, বাগাবাজার আর চিকনছড়া বাজার থেকে সরকার আগে মাত্র ২০ লাখ টাকা রাজস্ব পেত, কিন্তু বর্তমানে তা ১ কোটি ২০ লাখের বেশি পাচ্ছে। তবে জাতীয় নির্বাচনের পর থেকে বাগানবাজারে এসব বাজার বন্ধ হয়ে আছে।
ডিসি এবং ইউএনওর কাছে আমার অনুরোধ থাকবে এসব বাজার যেন আগের মত স্বাভাবিক করে দেয়া হয়। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, বাজারগুলোর ব্যাপারে ইজারাদাররা অভিযোগ দিয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ভূজপুর থানার ওসিকেও এ বিষয়ে অবগত করা আছে। যারা সরকারকে রাজস্ব দিয়ে ইজারা নিয়েছে তাদেরকে আমরা অবশ্যই সহযোগিতা করবো।