চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির হালদা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের সময় আব্দুল জব্বার, ওলিউল্লাহ, মো. খোকন এবং আব্দুল মতিন নামে চারজনকে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) নাজিরহাট পৌর সভার ৯ওয়ার্ডে মতিউর রহমান শাহ বাড়ির পাশে অভিযানে এই কারাদন্ড দিয়েছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো.মোজাম্মেল হক চৌধুরী। অভিযানে সহযোগিতা করেন স্থানীয় কাউন্সিলর, ফটিকছড়ি থানার এসআই ওমরা খান সহ সঙ্গীয় ফোর্স। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মো. এয়াকুব জানান, সকালে আমাদের বাড়ির সামনে হালদা নদী থেকে কিছু মানুষ বালু উত্তোলন করছে। এ সময় আমিসহ স্থানীয় লোকজন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করি। তারা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্দেশে এসব বালু উত্তোলন করছে বলে জানায়। এ সময় তাদের কথাবার্তা সন্দেহজনক হলে আমরা বালু উত্তোলনকারী চারজনকে আটক করে স্থানীয় কাউন্সিলরকে খবর দেই। স্থানীয় কাউন্সিলর মো. সোলাইমান জানান, নাজিরহাট পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মতিভান্ডারের পাশে হালদা নদী থেকে চারজন ব্যক্তি নৌকায় বালু উত্তোলন করছিল। এ সময় তাদের মতিগতি সন্দেহ হলে স্থানীয় লোকজন তাদের বালু উত্তোলনের মেশিনসহ একটি নৌকা আটক করে আমাকে জানায়। পরে ফটিকছড়ি থানা পুলিশকে খবর দেই। ফটিকছড়ি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল ও ওমরা খান জানান, জরুরি সেবায় ফোন পেয়ে সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে চারজনকে আটক করি।
ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের ১০ দিনের কারাদণ্ড দেয়। বালু উত্তোলনে ব্যবহার করা নৌকা মালিকের জিম্মায় বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ হালদা নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করছে একটি চক্র। আজ চক্রটি নৌকা দিয়ে বালু উত্তোলন করছে এমন খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান চালায়। অভিযানে বালু মহল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী চারজনকে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয় মোবাইল কোর্ট। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী জানান, স্থানীয় কাউন্সিলর ও পুলিশের সহযোগিতায় তাৎক্ষণিকভাবে বালু উত্তোলনের সময় চারজনকে আটক করা হয়। তাদের বালুমহাল ও মাটি ব্যাবস্থাপনা আইন ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। জনস্বার্থে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।