চট্টগ্রামের রাউজানে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আন্তজেলা ডাকাত দলের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে রাউজান থানা পুলিশ। ৬ মার্চ (বুধবার) ভোররাতে উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম গশ্চি রাধাকৃষ্ণ মন্দিরের গেইটের সম্মুখ হতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন ১। সীতাকুণ্ড মডেল থানার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কেশবপুর গ্রামের মৃত সালেহ আহামদ মিস্ত্রীর ছেলে মো. ইউসুফ ভান্ডারী প্রকাশ কালু (৫০), ২। ভাটিয়ারী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের জাহানারাবাদ গ্রামের মৃত ফজল হকের ছেলে মো. দিদার (৫৫), ৩। সলিমপুর ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের মৃত রাজা মিয়ার ছেলে মো. তসলিম উদ্দিন ড্রাইভার (৪২), ৪। বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ থানার কাকিলা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রামনগর গ্রামের মৃত শওকত আলী মৃধার ছেলে মো. খলিল ও ৫। ফেনী জেলার সোনাগাজী থানার মঙ্গলকান্দি ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আব্দুস ছালামের ছেলে মো. আনোয়ার। রাউজান থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই অজয় দেব শীল জানান, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার ওসি জাহিদ হোসেনের পরিকল্পনায় নোয়াপাড়া ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই টুটুন মজুমদার ও তার সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান পরিচালনা করে পশ্চিম গশ্চি রাধাকৃষ্ণ মন্দিরের সম্মুখে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের উপর হতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে তাদের গ্রেফতার করেন।
এই সময় এই সময় তাদের ব্যবহৃত একটি প্রো-বক্স (চট্টমেট্রো-গ-১১-৯২৩৫) গাড়ি এবং ১টি কাটার, দু’টি ধারালো দা,১টি ধারালো ছোরা, ১টি হেক্সো মেশিন (ব্লেড সহ), ১টি স্ক্রু ড্রাইভার, ৭টি ধারালো কাটার ব্লেড,১টি হেক্সো ব্লেড উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়। অভিযানকালে ডাকাত দলের এক সদস্য পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পালাতক এই ডাকাত সদস্য হলেন দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার সরফভাটা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আবুল আবছারের ছেলে মো. পারভেজ। এদের ৬ জনের বিরুদ্ধে রাউজান থানায় (ধারা-৩৯৯/৪০২ পেনাল কোড) মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামীদের পিসিপিআর, থানার রেকর্ডপত্র ও সিডিএমএস যাচাই করে জানা যায়, ইউসুফ ভান্ডারীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় বিভিন্ন আইনে ১২ টি মামলা, মো. দিদারের বিরুদ্ধে ৬টি মামলা, মো. তসলিম ড্রাইভারের বিরুদ্ধে ২ টি মামলা এবং পালাতক আসামী মো. পারভেজের বিরুদ্ধে ২ টি মামলা রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ৭ মার্চ সকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হবে। তিনি আরো জানান, এই আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে ডাকাতি, ছিনতাই ও গরু চুরির সাথে জড়িত রয়েছে।