রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি বলেছেন, রাউজানের অনেক কৃতী মনীষীদের মধ্যে অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ ছিলেন অন্যতম এক ব্যক্তিত্ব। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের রাজনীতি ও সংবাদপত্র জগতের এক কিংবদন্তী পুরুষ এবং বিবেকের কণ্ঠস্বর। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একনিষ্ঠ সহযোদ্ধা অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দৈনিক আজাদীর সহযোগী সম্পাদক ও বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিশু সাহিত্যিক রাশেদ রউফ সম্পাদিত অধ্যাপক খালেদ জন্ম শতবার্ষিক স্মারক গ্রন্থ- এর মোড়ক উম্মোচন করতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, অধ্যাপক মোহম্মদ খালেদ আমৃত্যু দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন। নীতি ও আদর্শের জায়গায় কখনো বিন্দুমাত্র আপোস করেননি। মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর আস্থাভাজন অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ’র অপরিসীম অবদান জাতি আমৃত্যু কৃতজ্ঞচিত্রে স্মরণ করবে। তাঁর এই অবদানের স্বকৃতিস্বরূপ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার ২০১৯ সালে তাঁকে রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদা মরোনত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করেছেন।
তিনি বলেন, অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ ছিলেন অত্যন্ত বিনয়ী এবং সদালাপী একজন মানুষ। তাঁর ব্যক্তিত্ব, পাণ্ডিত্য ও সহনশীল মনোভাব তাঁকে সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে। তিনি কারো প্রতি কখনো হিংসা-বিদ্বেষ পোষণ করেননি। ছিলেন অসাম্প্রদায়িক ও উদার মনে মানুষ। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক জাতীয়তাবাদী আন্দোলন, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন ও সাম্প্রদায়িকতা বিরোধেী আন্দোলনে তিনি পালন করেছিলেন অগ্রণী ভূমিকা। দেশের সাংবাদিকতার অঙ্গনে শুধু নয়, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক, নাগরিক পরিমণ্ডলেও তিনি ছিলেন বড় মাপের মানুষ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ এর পুত্র স্লোগান সম্পাদক মোহাম্মদ জহির, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক খোরশেদুল আলম শামীম, রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কামরুল হাসান বাহাদুর, রাউজান উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উরকিরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার সোহেল, রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য ও বিশিষ্ট ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব সুমন দে প্রমুখ।