লুসাইলে আরেকটি ফাইনালে এবার চার গোল দেখলো বিশ্ব।গত বছর দেখেছিলো পাঁচ গোল।বিশ্বকাপ ফুটবল ফাইনালে।এবার এশিয়ান কাপ ফুটবল ফাইনাল।চার গোলের ফাইনালে স্বাগতিক কাতার ৩-১ গোলে জর্দানকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার এশিয়ান কাপের শিরোপা জিতলো।কাতারের হয়ে হ্যাট্রিক করলেন এই আসরে তাঁদের সেরা খেলোয়াড় আফিফ।তিনটি পেনাল্টি থেকে গোল তিনটি করেন আফিফ।
২০০৭ সালের পর এশিয়ান কাপে অল আরব ফাইনালে রুপকথা লেখার আশায় লুসাইল স্টেডিয়ামে স্বাগতিক কাতারের মুখোমুখি হয়েছিলো জর্দান।সেই লক্ষ্যে তাঁরা চেষ্টা করে গেছে শেষ পর্যন্ত।কিন্তু পেনাল্টি ট্রাজেডী দিলোনা তাঁদের রুপকথা লিখতে।অথচ পুরো খেলার পারফরম্যান্স ও পরিসংখ্যানে নিঃসন্দেহে ম্যাচের সেরা দল ছিলো জর্দান। ম্যাচে ৫৮ শতাংশ বলের দখল রেখে ১৬ টি শট অন টার্গেটে রেখেও খেলা শেষে ৪২ শতাংশ বলের দখল রাখা আর ৮ টি শট অন টার্গেটে রাখা দলের কাছে হার মেনে নিতে হলো। লুসাইল স্টেডিয়ামে খেলার ২২ মিনিটে পেনাল্টির সূচনা করেন জর্দান ডিফেন্ডার নসিব।বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়া আফিফকে পেছন থেকে ফাউল করে ফেলে দেন নিজেদের বক্সে।রেফারি ভিএআর প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে পেনাল্টির বাঁশি বাজান।আফিফ গোল করে একই সাথে কাতারকে ১-০ গোলে এগিয়ে নেন আর সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় একে থাকা ইরাকের আয়মান হোসেনের(৬ গোল) পাশে গিয়ে বসেন। গোল পরিশোধে মরিয়া জর্দান অনেক আক্রমণ করে শেষ পর্যন্ত ৬৭ মিনিটে ডানদিক থেকে পাওয়া ক্রস থেকে আল নাইমাতের ভলি কাতারের জাল কাঁপিয়ে দিলে ১-১ গোলে সমতা আসে খেলায়।
পাঁচ মিনিট পরেই আবার পেনাল্টি পায় কাতার।ইসমাইলকে ডি বক্সে ফাউল করেন আল মাদ্রি।আবারও ভিএআর প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।আফিফ গোল করে দলকে ২-১ গোলে এগিয়ে নেবার পাশাপাশি আসরের সেরা গোলদাতা হওয়া নিশ্চিত করেন। খেলায় ফিরে আসার সব ধরনের চেষ্টা করে ব্যর্থ জর্দান উল্টো যোগ করা সময়ের পাঁচ মিনিটে আবার পেনাল্টি গোলে পরাজয় নিশ্চিত করে বসে।আফিফকে এবার ফাউল করেন জর্দান গোলরক্ষক।ভিএআর প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি তৃতীয় বারের মতো।আর তৃতীয় বারের মতো গোল করে ফাইনালে হ্যাট্রিক করার অনন্য কীর্তি গড়েন আফিফ। আসরের সর্বোচ্চ আট গোল করে গোল্ডন বুটও জিতেন তিনি।