মাউন্ট মঙ্গুইনে তৃতীয় দিন শেষে নিউজিল্যান্ডের লীড ছিলো ৫২৮ রানের।কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংস ডিক্লেয়ার না করায় বোঝা যাচ্ছিলোনা কতো রানের পাহাড় চাপিয়ে ডিক্লেয়ার করবে নিউজিল্যান্ড। আজ ৭ ফেব্রুয়ারী দুই ম্যাচের সিরিজের প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিনে ব্যাট করতে না নেমে ইনিংস ডিক্লেয়ার করে নিউজিল্যান্ড।৫২৯ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে জয়ের জন্য।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেই সাউদি ও হেনরির তোপে দলীয় ৫ রানে দুই উইকেট হারিয়ে বসে প্রোটিয়ারা।তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৬৩ রান যোগ করে বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার ইঙ্গিত দেওয়া টোন্ডার ও হামজা জুটি ভাঙেন জেমিসন।দলীয় ৬৮ রানে টোন্ডার আউট হওয়ার কিছুক্ষন পর হামজাও তাঁকে অনুসরণ করলে চার উইকেটে ৭৩ পরিনত হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। পঞ্চম উইকেট জুটিতে আবার প্রতিরোধ গড়ে তোলেন বেডিংহাম কেগান পিটারসেনকে নিয়ে।জুটিতে শতরান পূর্ণ করে চা বিরতিতে যাওয়া প্রোটিয়াদের রান ছিলো চার উইকেটে ১৭৩।টি টোয়েন্টি মেজাজে দারুণ খেলছিলেন বেডিংহাম। চা বিরতির পর আর পাঁচ রান যোগ করে আক্রমণাত্মক হওয়ার খেসারত হিসেবে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটি পাওয়া যখন নিশ্চিত মনে হচ্ছিলো ১৩ রান দূরেই তা থেমে যায়।দলীয় ১৭৮ রানে পঞ্চম উইকেট হয়ে ব্যক্তিগত ৮৭ রানে আউট হয়ে যান বেডিংহাম।ভাঙে ১০৫ রানের জুটি।যেখানে পিটারসেনের রান মাত্র ১৫!
ঐ জুটি ভাঙার পর নিয়মিত উইকেট হারানো দক্ষিণ আফ্রিকা শেষ পর্যন্ত দিনের খেলা ঘন্টা খানেক বাকি থাকতেই ২৪৭ রানে অলআউট হয়ে যায়।নিউজিল্যান্ড প্রথম টেস্ট জয় পায় ২৮১ রানের বিশাল ব্যবধানে। প্রথম ইনিংসে অসাধারণ ২৪০ রানের সাথে বোলিংয়ে দুই উইকেট ও দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংসে দারুণ তিনটি ক্যাচ রাচিন রবীন্দ্রকে এই টেস্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার এনে দেয়। সংক্ষিপ্ত স্কোর:- নিউজিল্যান্ড ৫১১ ও ১৭৯/৪ ( ডিক্লেয়ার)। দক্ষিণ আফ্রিকা:- ১৬২ ও ২৪৭/১০(৭৯.৬) বেডিংহাম ৮৭,কাইল জেমিসন ৪/৫৮,মিচেল স্যান্টনার ৩/৫৯। ফলাফল:- নিউজিল্যান্ড ২৮১ রানে জয়ী। ম্যান অফ দ্য ম্যাচ:- রাচিন রবীন্দ্র।