মিয়ানমারের অভ্যন্তরে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের চলমান সংঘর্ষে প্রাণ বাঁচাতে দেশটির বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ৬৩ জন সশস্ত্র সদস্য আজ পালিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন।এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ৩২৭ জন মিয়ানমারের বিজিপি,সেনা কাস্টমস কর্মকর্তা ও অসামরিক নাগরিক বাংলাদেশে পালিয়ে এলেন।
০৭ ফেব্রুয়ারী বুধবার দুপুরে টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্ত দিয়ে ৬৩ জন প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম। তিনি জানান, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত ৩২৭ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি), সেনা সদস্য, কাস্টমস কর্মকর্তাসহ বেসামরিক মিয়ানমার নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন।বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তাদের নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে।
গতকাল পর্যন্ত পাওয়া খবরে বিজিবির নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমার থেকে আশা ১৮৩ বিজিপি সদস্যের মধ্যে তুমব্রু বিওপির ৭৬ জন, ঘুমধুমের ৩৭ জন ও বালুখালী এলাকার ৭০ জন ছিলেন। মোট ২২৭ জন বিজিপি সদস্য কক্সবাজার বিজিবি ব্যাটেলিয়নের অধীনে আছেন।অন্যদিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং বিওপিতে আরও দুই বিজিপি সদস্য রয়েছেন।
এদিকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে তীব্র সংঘর্ষের মধ্যে সেখানে চাকমা সম্প্রদায়ের প্রায় চারশ জন ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কিছু লোক সহ প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষ জড়ো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মো. মিজানুর রহমান।
এ অবস্থায় ওই চাকমা-রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিজিবি জানায়, সীমান্ত এলাকায় অতিরিক্ত টহল ও চেকপোস্ট বৃদ্ধি করা হয়েছে।কোনো রোহিঙ্গাকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।দেশের স্বার্থে সীমান্তে সার্বক্ষণিক নজরদারি বৃদ্ধি করেছে বিজিবি।