বাংলাদেশের রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈত ভূমিকা আবারও সামনে এলো।পশ্চিমা রাজনীতির বিশেষ করে বাংলাদেশ প্রশ্নে আমেরিকার অবস্থান গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে ক্রমশঃ পরিস্কার হয়ে এলেও তা বুঝতে চাইছেন না কিছু মানুষ। সেই “অবুঝ”দের নিয়োগ করা সাংবাদিক পরিচয়ধারী একজন ক্লান্তিহীন ভাবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে পড়ে থেকে মিলারের নিকট থেকে ইতিবাচক কিছু শোনার আশায় প্রশ্ন করেন।তাঁর জবাবে একদিন মিলার বেলুনে একটু হাওয়া দেন তো পরের ব্রিফিংয়েই বেলুনে ফুঁটো করে দেন। তাঁরই প্রতিফলন ঘটেছে ১লা ফেব্রুয়ারী যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে।
সেই সাংবাদিক মিলারের কাছে জানতে চান,বাংলাদেশ ইস্যুতে আপনার শেষ প্রেসনোটে আমি দেখতে পেয়েছি যে নিরাপত্তার বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র। এই ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে আছে সন্ত্রাস মোকাবিলা, সীমান্ত নিরাপত্তা, সাইবার নিরাপত্তা, সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা।কিন্তু প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগতঃ না জানিয়ে বাংলাদেশে নতুন সরকারের সঙ্গে ব্যাপকক্ষেত্রে কিভাবে সেই কাজ করা সম্ভব? জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন,আমি আপনাকে বলবো যে,সারাবিশ্বে আমাদের এরকম সম্পর্ক আছে। তিনি বলেন, এর অর্থ এই নয় যে সরকারের সঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্রে আমাদের দায়বদ্ধতা নেই। বাংলাদেশের বিভিন্ন মিডিয়ার সিনিয়র সাংবাদিকগন এনিয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন টক শোতে ঐ সাংবাদিক প্রশ্নে নানান হাস্যরসাত্মক মন্তব্য করেছেন।কেউ কেউ তাঁকে ম্যাথিউ মিলারের বিনোদনের উপলক্ষ্য হিসেবেও অভিহিত করেছেন।