আনজীর লিটন বলেন, শিশুসাহিত্যই আমার প্রাণ। আমি শিশুসাহিত্যকে আরও সমৃদ্ধ করতে চাই। আমার লেখনী শক্তি যেন আরও বাড়ে। এখন প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে। শিশুরা এখন ক্লাস করছে অনলাইনে। করোনা একটি নতুন অভিজ্ঞতা যুক্ত করেছে। শিশুরা এখন মোবাইলকে বন্ধু হিসেবেই নিয়েছে। তাই আমি বলতে চাই, বাবা-মাকে সতর্ক থাকা উচিত। মা-বাবাদেরও বই পড়া দরকার। তারা যদি বই না পড়েন; তাহলে শিশুরা তো প্রভাবিত হবে না। শিশুর কোনো দোষ নেই। তারা পরিবেশ-প্রতিবেশ দ্বারা প্রভাবিত হয়। তাকে পরিবেশ গড়ে দেবে বাবা-মা। প্রযুক্তির ব্যবহার কতটুকু করবে, তা বাবা-মায়ের সচেতনতার ওপর নির্ভর করে। শুধু বাবা-মা নন, তার আত্মীয়-স্বজন ও পরিবারকে ভূমিকা রাখতে হবে।
তিনি বলেন, এখন আমি যদি তাদেরকেই রিপিটেশন করতে থাকি; তাহলে তো হবে না। কারণ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাঠকের রুচি বদলায়। পাঠকেরও দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টায়। পাঠকের সঙ্গেই আমার কানেক্টিভিটি। আমি যদি পাঠকের মনের কথা সময়ের ভাষা দিয়ে না বলতে পারি, তাহলে লেখাটি সার্থক হবে না। এখন যারা এসেছেন; তাদের ডেডিকেশন ও কমিটমেন্ট পরিষ্কার হতে হবে। শিশুর মনোজগৎটা স্পর্শ করতে হবে। লেখকদের স্বপ্ন থাকতে হবে। লেখায় দর্শন থাকতে হবে। নতুন করে বিনির্মাণ করতে হবে। এখন বিনির্মাণের খুব অভাব।
চট্টগ্রাম একাডেমির আয়োজনে আজ ১৯ জানুয়ারি শুক্রবার সন্ধ্যায় একাডেমির ফয়েজ নুর নাহার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত অন্তরঙ্গ আলোকে বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক শিশুসাহিত্যিক আনজীর লিটন একথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন গল্পকার-সাংবাদিক বিপুল বড়ুয়া। শিশুসাহিত্যিক ও একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা রাশেদ রউফ এর সঞ্চালনায় সূচনা বক্তব্য দেন গল্পকার দীপক বড়ুয়া। ছড়া-কবিতা ও কথামালায় অংশ নেন কবি-সাংবাদিক ওমর কায়সার, জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘরের পরিচালক ড. আতাউর রহমান, বাংলাদেশ শিশু একাডেমির প্রোগ্রাম পরিচালক নাজমুল হক, ছড়াশিল্পী উৎপলকান্তি বড়ুয়া, কবি মর্জিনা আখতার, ছড়াশিল্পী জসীম মেহবুব, , ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী, কবি আজিজ রাহমান, শিশুসাহিত্যিক আবুল কালাম বেলাল, প্রাবন্ধিক রেজাউল করিম স্বপন, লেখক এস এম মোখলেসুর রহমান, প্রাবন্ধিক বাসুদেব খাস্তগীর, অনুবাদক ফারজানা রহমান শিমু, গবেষক ড. সেলিম জাহাঙ্গীর, প্রাবন্ধিক তরুণ কান্তি বড়ুয়া, অ্যাড. শংকর প্রসাদ দে, শিশুসাহিত্যিক কেশব জিপসী, ছড়াকার মিজানুর রহমান শামীম, গল্পকার ইফতেখার মারুফ, শিশুসাহিত্যিক ইসমাইল জসীম, গল্পকার মিলন বনিক, নাট্যকার-গল্পকার কাসেম আলী রানা, ছড়াকার-অধ্যাপক গোফরান উদ্দীন টিটু, ছড়াকার-গীতিকার অপু বড়ুয়া, গল্পকার লিপি বড়ুয়া, সংগঠক মহসিন চৌধুরী, ছড়াকার সৈয়দা সেলিমা আক্তার, প্রাবন্ধিক কাঞ্চনা চক্রবর্তী, গল্পকার রুনা তাসমিনা, কবি লিটন কুমার চৌধুরী, ছড়াকার অপু চৌধুরী, ছড়াকার তসলিম খাঁ, ছড়াকার গৌতম কানুনগো, গল্পকার শিপ্রা দাশ, প্রাবন্ধিক মোয়াজ্জেম হোসেন, কবি কানিজ ফাতেমা, কবি প্রদ্যোত কুমার বড়ুয়া, কবি পুস্পিতা সেন, ছড়াকার কুতুব উদ্দীন বখতেয়ার, ছড়াকার রাজন বড়ুয়া, জাহানারা মুন্নী, মারজিয়া খানম সিদ্দিকা, প্রাবন্ধিক সুপ্রতিম বড়ুয়া, কানিজ ফাতেমা লিমা, শ্রাবন্তি বড়ুয়া, সিমলা চৌধুরী, রাবেয়া খাতুন, এম কামাল উদ্দীন প্রমুখ।