দক্ষিণ কোরিয়াকে প্রথম ও প্রধান শত্রু হিসেবে আখ্যায়িত করে রীতিমতো যুদ্ধের হুমকি দিলেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। আজ ১৬ জানুয়ারী মঙ্গলবার পিয়ংইয়ংয়ের মানসুদাই হলে দেশের নীতি নির্ধারনী উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে দেওয়া এক ভাষনে তিনি একথা বলেন। তিনি নিজেদের সংবিধান সংশোধনের কথাও জানান। নিজেদের জনগনকে আরও শিক্ষিত হতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন এজন্য সংবিধান সংশোধন করা হবে। উত্তর কোরিয়াকে যুদ্ধের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়াকে সম্পূর্ণভাবে দখল এবং পরাধীন এবং করার পরিকল্পনা করা উচিত প্রতিজন উত্তর কোরিয় নাগরিকের বলে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন দক্ষিণ কোরিয়াকে আর সহদেশী হিসাবে উল্লেখ করা উচিত নয়।
কিম জং উন বলেন যে তিনি বিশ্বকে এই বার্তা পৌঁছে দিতে চান যে, সমস্ত আন্তঃ-কোরীয় যোগাযোগ বন্ধ করার এবং একটি দক্ষিন কোরিয়াকে ধ্বংসের আহ্বান জানিয়েছেন কিম জং উন। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকগণ এএফপিকে বলেন,কিম দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠতাকে নিজেদের জন্য হুমকি মনেকরে আক্রান্ত হওয়ার আগেই আক্রমন করার কথা ভাবছেন হয়তো। কিমের আজকের বক্তব্যের ফলে দুই কোরিয়াকে একীকরণ এবং আন্ত-কোরিয়ান পর্যটন নিয়ে কাজ করা তিনটি সংস্থাও বন্ধ হয়ে যাবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রপতি ইউন সুক ইওল প্রতিক্রিয়ায় জানান,পিয়ংইয়ংকে দক্ষিণকে শত্রু দেশ বলার জন্য দেশবিরোধী বা দেশদ্রোহী হিসেবে ঘোষনা করা উচিত। দক্ষিণ কোরিয়ার কিয়ংনাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তর কোরিয়ার অধ্যাপক লিম ইউল-চুল এনিয়ে বলেছেন যে কিম জং উন তার বক্তৃতায় উত্তর কোরিয়ানদের জীবনযাত্রার উন্নতির জন্য পরিকল্পনাগুলি তুলে ধরেছেন,একের পর এক শক্তিশালী ক্ষেপনাস্ত্র পরীক্ষা চালাচ্ছেন এমন এক সময়ে, যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অন্যান্য বৈশ্বিক সংকটে বিভ্রান্ত হয়ে আছে।আর এটিকে হালকা ভাবে দেখার কোন অবকাশ নেই বলেও তিনি জানান। সূত্র:- রয়টার্স ও এএফপি।