নির্বাচনে যাঁরা আসেনি তাঁদের নিয়ে কিছু বলার থাকলেও আজ শুধু তাঁদের কথাই বলবো,যাঁরা ভোটের মাঠে আছে।দলীয় মনোনয়নে,কেউবা স্বতন্ত্রের ব্যানারে ভোটে অংশ নিচ্ছে।আমি যাঁদের কথা বলতে এই লেখা লিখতে বসেছি,তাঁরা রাজনীতির ময়দানে নতুন মুখ। এককথায় এঁরা তারুণ্যের প্রতিনিধিত্ব করছে। প্রথমেই বলবো বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের পরিচিতি আরও বেশি করে তুলে ধরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের কথা।পূর্বসূরী নাঈমুর রহমান দূর্জয়,মাশরাফি মোর্তুজা কৌশিকের পথ ধরে এবারের নির্বাচনে সাকিব এসেছে।দূর্জয়কে নিয়ে আশানুরূপ কিছু হয়তো পায়নি তাঁর নির্বাচনী এলাকার মানুষ।তারই বহিঃপ্রকাশ হয়তো এবার দলের টিকিট না পাওয়া।কিন্তু মাশরাফি যথেষ্ট সফল ছিলেন বলতেই হবে।আমি নিশ্চিত গত পাঁচ বছর যে অভিজ্ঞতা সে অর্জন করেছে,তা কাজে লাগিয়ে আগামী সংসদের অন্যতম সফল সাংসদ হবে মাশরাফি (অবশ্যই এবার জয়ী হলে)। সাকিব আল হাসানের খেলোয়াড়ী জীবনের দিকে তাকালে এই ছেলেটার মাঝে কিছু করার তীব্র একটা ইচ্ছাশক্তির প্রকাশ দেখতে পাই।নইলে এভারেজ লেভেলের একজন হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করে নিজেকে অমন আকাশ ছোঁয়া উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া অসম্ভব ছিলো।তারচেয়ে বহুগুণ বেশি সামর্থ ও প্রতিভা নিয়ে উন্নত দেশের উন্নত সুবিধা ভোগ করেও ক্যারিয়ার এভারেজ লেভেলেই শেষ করার অসংখ্য নজির বিশ্ব ক্রিকেটে রয়েছে।ইতিমধ্যেই সাকিব এমন জায়গায় চলে গেছে ক্রিকেটীয় পারফরম্যান্সে,কোন না কোন ক্যাটাগরিতে ইতিহাসে অমরত্ব পেয়ে যাবে একথা বলাই যায়।সেদিন আইসিসির হালনাগাদ Rangking দেখতে গিয়ে ঐ ওয়েবসাইটে সর্ব কালের সেরাদেরও একটি তিন ক্যাটাগরির তালিকা দেখতে পেলাম।সেখানে দুটো ক্যাটাগরিতে সাকিব এমন অবস্থানে আছে,ক্যারিয়ারের বাকিটা সময় যদি অফ ফর্মে থেকেও শেষ করে তবুও অমরত্ব নিশ্চিত তাঁর।অথচ শুরুতে কেইবা কল্পনা করতে পেরেছিলো,এভারেজ লেভেল নিয়ে শুরু করা এই ছেলেটার জন্যই বাংলাদেশ সম্মানিত হবে একদিন? আজকের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিবের ক্রিকেটীয় উত্থানের নেপথ্যে গেলে একটি বিষয়ই উঠে আসে, তাহলো ছেলেটার অদম্য ইচ্ছেশক্তি আর দ্রুত সবকিছু রপ্ত করতে পারার স্পেশাল ট্যালেন্ট। সাকিবের রাজনীতিতে আসা নিয়ে নানাজন নানান কথা বললেও আমি ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছিলাম।আর তাই ওঁর মনোনয়নপ্রাপ্তী থেকে আজ অবধি গভীরভাবে ওঁকে পর্যবেক্ষন করছি।আমার পর্যবেক্ষন রাজনীতিবিদ সাকিব সম্পর্কে বেশ আশাবাদী হতে বলেছে।আমার দৃঢ় বিশ্বাস,খুবই অল্প সময়ে রাজনৈতিক মাঠেও অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে সে নিজেকে।নিজের চ্যালেন্জটি নিজের সাথে নিয়েই আয়ুষ্কাল সময়ে সাকিব আমার পর্যবেক্ষনে থাকবে নিয়মিতভাবে।এখানে একটি কথা উল্লেখ না করলেই নয়,তাহলো বঙ্গবন্ধু কন্যার দূরদর্শী ও রত্ন চেনার বিশেষ সক্ষমতা।যা ইতিমধ্যে বহুবার প্রমানীত এই বাংলাদেশে। উপরোল্লিখিত দু’জন সহজেই এবারের নির্বাচনী বৈতরণী পার হয়ে আসবে বলেই দেশের সকল মিডিয়ার বিশ্লেষণ।এখন বলছি এমন একজনের কথা,যে এবার নির্বাচিত হয়ে আসতে পারলে আগামী সংসদের সবচেয়ে দামী সাংসদ হবার মর্যাদা অবধারিত ভাবে পাবে। বলছি চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির কথা।আমার সাথে সকল পাঠক একমত হবেন নিশ্চয়ই।প্রথমতঃ নৌকার বিরুদ্ধে,দ্বিতীয়তঃ ওমর ফারুক চৌধুরীর মতো ধারে ভারে বহুগুণ এগিয়ে থাকা প্রার্থীর বিরুদ্ধে অসম যুদ্ধে লড়ে আর তৃতীয়তঃ আমাদের মাঝে আজো ক্রিয়াশীল ধর্মিয় ও সামাজিক নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিকে ছাপিয়ে আসবে মাহি।এই লেখা যখন লিখছি,ভোটের তখন মাত্র দুইদিন বাকি।প্রচারনা বন্ধ হয়ে গেছে।নির্বাচনী প্রচারনার সময়কালে একের পর এক অব্যাহত বাঁধা পেড়িয়ে শেষ পর্যন্ত যে রাজনীতিতে একেবারেই অনভিজ্ঞ মেয়েটি ব্যালটের লড়াই পর্যন্ত এসেছে,আমার দৃষ্টিতে নৈতিক বিজয়টা মাহি পেয়ে গেছে। রাজনীতির নামে পেশীশক্তি ও নোংরা নেতিবাচক প্রোপাগান্ডার ভয়াবহতা সম্পর্কে বাস্তব অভিজ্ঞতা বেশ ভালো ভাবেই অর্জিত হয়েছে মাহির।যা মিডিয়াকে সে বলেছেও। “রাজনীতির মাঠ অনেক বেশি কঠিন, একজন নারীর পক্ষে সেখানে টিকে থাকা কতোটা কঠিন তা আমি বুঝে গেছি গত কয়েকদিনে”।গত ২ জানুয়ারী তানোরের কৃষ্ণপুরে গণসংযোগকালে সাংবাদিকদের কাছে এমনটাই জানান তিনি (কালের কন্ঠ,৩ জানুয়ারী)।কঠিনকে ভয় পেয়ে গুটিয়ে না গিয়ে বরং আরও সাহসী ও উদ্যমী হয়ে মাটি কামড়ে পড়ে থেকেছে সে।অসম্ভবকে চ্যালেন্জ করার দৃঢ়চেতা মানসিকতা এই মেয়েকে বহুদূর নিয়ে যাবে বলেই আমি বিশ্বাস করি।রাজনৈতিক কোন ব্যাকগ্রাউন্ড না থাকলেও মাহিকে দেখে মনে হয়নি একবারের জন্য তেমনটা।আমি নিশ্চিত জানিনা ভোটের ফল কি হবে?তবে মন থেকে চাই,মাহিয়া মাহিকে বিজয়ী করে পাঠাক ওঁর নির্বাচনী এলাকার মানুষ।এতে করে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবেন তাঁরাই। সেই সাথে লাভ হবে দেশের রাজনীতি তথা আমাদের বাংলাদেশের।যদি দূর্ভাগ্যজনক ভাবে সেটি নাও হয়, আমি চাইবো মাহি রাজনীতি আঁকড়ে থাকুক।শেখ হাসিনা তাঁকে মূল্যায়িত করবেন নিশ্চয়ই। আসছি চলচ্চিত্রের আরেকজন তথা ফেরদৌসের কথায়।ফেরদৌস নিজের অঙ্গনে দুই বাংলাতেই ভীষণ সফল একজন।যে অর্জন মোটেও সহজ ছিলোনা। আমাদের প্রজন্মের ও প্রায় সমবয়সী ফেরদৌসকে তো শুরু থেকে আজ অবধি অনেকটা হাতের তালুর মতোই চেনা আমাদের।ওঁর সবচেয়ে বড় ইতিবাচক দিক হলো চারিত্রিক স্বচ্ছতা।চলচ্চিত্রের মতো মাধ্যমে এতো দীর্ঘ সময় ধরে এপার ওপার দুই বাংলাতেই নিজেকে ষ্ক্যান্ডাল মুক্ত রাখা কি চাট্টিখানি কথা!যে ভূবনে গসিপ হলো সিনেমা হিট করার অন্যতম সেরা কৌশল,সেখানে গত দুই দশকের বেশি সময় ধরে ফেরদৌস নিজেকে যতনে সামলে রেখেছেন।প্রসঙ্গক্রমে বলতেই হয়,আমাদের রুগ্ন রাজনৈতিক অঙ্গনের সমৃদ্ধ অতীতে ফিরে যেতে ও ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বেশি দরকারী তিনের একটি হলো সৎ চরিত্রের নেতৃত্ব।সমভাবে আরও দুটো হলো দেশপ্রেম ও আদর্শ।দেশপ্রেম,আদর্শ ও চরিত্রের মিশেলই আমাদের রাজনৈতিক পরিবর্তনের সময়ের সবচেয়ে বড় প্রয়োজনটা মেটাতে পারে।যাহোক মূল প্রসঙ্গে যাই।আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে বেশ কয়েক বছর ধরেই ফেরদৌসের পথচলা।জাতীয় নির্বাচন,বিভিন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে তাঁকে আমরা দলীয় প্রার্থীর পক্ষে জোরালো ভাবে প্রচারনায় দেখেছি।
আর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের চোখে ফেরদৌসের ইতিবাচক ভাবমূর্তি,অবিচল আস্থাশীলতা ছিলো প্রশ্নাতীত।তাঁরই পুরষ্কার স্বরূপ এবার মনোনয়ন পেলেন তিনি।সেটিও রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ আসন ঢাকা-১০ থেকে।আরও দুটো আসন থেকে মনোনয়ন তুলেছিলেন তিনি।যাঁর মানে হলো শীর্ষ নেতৃত্ব সবুজ সংকেত দিয়েছিলো সাকিবের মতো ফেরদৌসকেও। হয়তোবা জ্বালাময়ী বক্তব্য দিয়ে মঞ্চ উত্তাল করার মতো ট্যালেন্ট ফেরদৌসের নেই।কিন্তু যা আছে তাঁর মাঝে,তা দুঃখজনক ভাবে দেশের অনেক ডাকসাইটে নেতাদেরও নেই।আর আগামীর বাংলাদেশ কথা নয় কাজেই রাজনীতিবিদকে মূল্যায়ন করবে।সেই দিক থেকে নিঃসন্দেহে ফেরদৌস সামনের কাতারেই থাকবেন বলে বিশ্বাস করি। একটু সুচিন্তিত ভাবে হিসেবটা মিলাতে চেষ্টা করুন, এবারের নির্বাচনী কৌশলে শেখ হাসিনার ভাবনাতে আজ নয়,আগামীকালের বাংলাদেশ ভাবনাটি স্পষ্ট হয়ে উঠবে আপনার কাছেও। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রচারনার সময়কালে পুরো দেশের তিনশো আসনের মধ্যে সবচেয়ে বেশিবার প্রতিপক্ষের হামলা-ভাংচুর-,হুমকি সহ বিভিন্ন ভাবে প্রতিবন্ধকতার শিকার হয়ে প্রায় প্রতিদিনই মিডিয়ার শিরোনাম হয়েছেন ফরিদপুর -৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ,সজ্জন ব্যক্তিত্ব হিসেবে দেশজুড়ে পরিচিত একে আজাদ চৌধুরী।ফরিদপুরে পেশীশক্তি নির্ভর রাজনৈতিক সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত খবরে ঐ আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী শামীম হক অভিযুক্ত হয়েছেন কয়েকবার।একে আজাদ এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার কথা অনেক আগেই জানিয়ে এলাকায় দলকে সংগঠিত করতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছেন বছর তিনেক ধরে।দলের মনোনয়ন চেয়ে নৌকা পেতে ব্যর্থ হয়েছেন রহস্যজনক কারনে।কেননা ক্লীন ইমেজ ও শান্তিপ্রিয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী একে আজাদ অটো চয়েস হবার কথা ছিলো।কিন্তু ম্যাজিক্যালি টিকেট বাগিয়ে নেন বর্তমান সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক।পরবর্তী সময়ে দলের সিদ্ধান্ত মেনেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটের লড়াইয়ে নামেন একে আজাদ।নির্বাচনী এলাকার শান্তিপ্রিয় মানুষের আশ্রয় হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন তিনি।দিন যতোই গড়িয়েছে একে আজাদের পক্ষে সাধারণ মানুষের সমর্থন স্পষ্ট হওয়ায় পেশীশক্তিই শামীম হকের জয়ের একমাত্র উপায় ধরে নিয়ে তাঁর অনুগত কিছু জনপ্রতিনিধি সম্ভব সকল উপায়ে ভয় ভীতি দেখিয়ে কেন্দ্রে যেতে নিষেধ করছে বলে খবর ছেপেছে ইত্তেফাক(২জানুয়ারী)। সজ্জন হলেও একে আজাদ ভীতু নন, তাঁর নজির তিনি রেখে চলেছেন।প্রতিটি অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে স্পষ্ট ঘোষণা করেছেন,৭ তারিখের ভোটে তিনি জয়ী হলে ফরিদপুরকে সন্ত্রাসমুক্ত শান্তির জনপদ রুপে গড়ে তুলতে করণীয় সবকিছু করবেন তিনি। মানুষের জন্য কিছু করার তীব্র ইচ্ছে থাকা হলো একজন রাজনীতিবিদের প্রথম যোগ্যতা।তিনি স্থানীয় অনেক লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন আরও অনেক আগেই।জয়ী হতে পারলে তিনি আরও বহু মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবেন বলে কথা দিয়েছেন।চোখ বন্ধ করে বলে দেওয়া যায়,সাংসদ একে আজাদ দেশ ও মানুষের জন্য আশীর্বাদ হয়েই আড়ির্ভূত হবেন খুব অল্প সময়েই। এই কলাম লেখাকালীন জানলাম,জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক একে আজাদ সহ জেলা কমিটির দশ নেতাকে দল থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। সেই এখতিয়ার তাঁদের আছে কি নেই সেই আলোচনায় না গিয়ে বরং আমি বলবো,এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে শামীম হক একে আজাদের বিজয়কেই সুনিশ্চিত করে দিলেন। শেষ করবো আরেকজন বিরুদ্ধস্রোতের অমিত সম্ভাবনাময় তরুণকে দিয়ে।তিনি ব্যারিষ্টার সুমন।ব্যক্তি সুমনকে নিয়ে বলতে হলে এককথায় বলা যায়,তিনি রাজনীতিতে না জড়ালেও আলোচনায় উঠে আসতেন আগের মতো করেই।কেননা মানুষের জন্য কিছু করার ইচ্ছে যদি আপনার স্বভাবজাত হয়,আপনি কোন না কোন উপায়ে মানুষের নজরে আসবেনই।বিশেষ করে প্রযুক্তিধন্য এই সময়ে আপনার আড়ালে থাকার কোন সুযোগ নেই।করোনা ও সিলেটের বন্যা সুমনকে সামনে নিয়ে এসেছিলো।এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার কথা আরও বছর দুয়েক আগেই জানিয়েছিলেন এই ব্যতিক্রমী আইনবিদ।তিনি এই বাস্তবতা মাথায় রেখেই ভোটে অংশ নেওয়ার কথা বলেছিলেন যে,কেউ তাঁকে জায়গা ছেড়ে দিবেনা। মনোনয়ন ফরম তুলতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছিলেন,দল থেকে যদি তাঁকে নৌকা না দেওয়া হয় তাহলে তিনি ভোটে অংশ নিবেন না।তাঁর সেই বক্তব্যে দলের নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্যের প্রকাশটি ছিলো নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।কিন্তু দল থেকে নৌকা পাননি ব্যারিষ্টার সুমন।তারপরও ভোটে নেমেছেন তিনি মূলতঃ দলের স্বার্থেই।তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন বলেই এবারের ভোটে দেশের শতাধিক জমজমাট ভোটের আমেজ বিরাজ করা আসনের মধ্যে হবিগঞ্জ-৪ অন্যতম।আমার স্থানীয় এক সাংবাদিক বন্ধুর সাথে কথা হয় নিয়মিত।তাঁর মতে,ভোটের লড়াইয়ে সুমনের সম্ভাবনাই বেশি মনে হচ্ছে। সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার কথা ঘোষণা করার পর থেকেই একটি মহল সুমনকে বিতর্কিত করার চেষ্টায় লিপ্ত হয়েও শেষ পর্যন্ত মানুষের কাছে টেকেনি ওসব। ব্যারিষ্টার সুমনের যোগ্যতা? তিনি স্পষ্টবাদী,তিনি সমাজসেবী,তিনি সংগঠক,তিনি তারুণ্যের নিকট বেশ জনপ্রিয়,আর তিনি অভাবী নন তাই স্বভাব নষ্ট করবেন না।বরং নষ্ট সময়ের বিরুদ্ধে গিয়ে আমাদের রাজনীতিকে দূর্বৃত্তায়নের থাবা মুক্ত করতে জোরালো ভূমিকা রাখবেন বলেই বিশ্বাস করেন ব্যারিষ্টার সুমনের কাছের মানুষজন।সূত্রের খবর মতে, কথাগুলো তাঁর নির্বাচনী এলাকার মানুষ মন থেকে বিশ্বাস করেন। ব্যালটের ফল কি হবে জানিনা।মাহিয়া মাহির মতো সুমনের জন্যও একই বার্তা থাকবে,জয় পরাজয় যাই হোক,রাজনীতির মাঠ ছাড়া যাবেনা।প্রতিকূলতা পাড়ি দিয়েই থাকতে হবে সক্রিয় ভূমিকায়।বঙ্গবন্ধু কন্যা রত্ন চিনতে ও মূল্যায়ন করতে ভুল করেন না। আরও কিছু বলার ছিলো।কিন্তু আবার কোন আলোচনায় লেখনীতে আলোচিত তারুণ্য তো বটে, সম্ভাবনাময় আরও কিছু মুখের কথা নিয়ে আসবো আশা করছি।আজ কেবল একটাই প্রত্যাশা,আগামী ৭ তারিখ রবিবার আলোচ্য তারুন্যের সবাইকে আগামী সংসদের সাংসদ হিসেবে বিজয়ী করে পাঠাক ঐ সকল নির্বাচনী এলাকার ভোটারগণ।ওঁরা আসতে চায়, দেশ,মাটি ও মানুষের জন্য কিছু করতে চায় মন থেকেই।ওঁদের আসতে দিন। আমাদের সকল অর্জনের নেপথ্যে ছিলো রাজনৈতিক ভূমিকা।দুঃখজনক ভাবে রাজনীতি আজ দেশপ্রেম,দেশপ্রেম, আদর্শ ও চরিত্র হারিয়ে ব্যবসায় পরিণত হয়েছে।যা বাংলাদেশের জন্য অনেক আশংকার বার্তা বহন করছে।দেশ ও আগামী প্রজন্মের জন্য আমাদের রাজনীতিতে পরিবর্তন এখন সময়ের সবচেয়ে বড় দাবী।সেই দাবী মেটাতে ওঁদের মতো পরীক্ষীত তারুণ্য অনেক বেশি দরকার।তাই উদাত্ত আহ্বান থাকলো- ওঁরা আসতে চায়,ওঁদের আসতে দিন।
লেখক:-সাংবাদিক ও কলামিস্ট।