চট্টগ্রাম-১০ (হালিশহর, পাহাড়তলী, খুলশী, ডবলমুরিং) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন নগর আওয়ামীলীগ নেতা ফরিদ মাহমুদ। এরআগে ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েও পাননি। এছাড়া গত উপ-নির্বাচনেও মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।
ফরিদ মাহমুদ নগর আওয়ামী লীগের একজন পরিচ্ছন্ন নেতা। দীর্ঘদিন তিনি নগর যুবগলীগের যুগ্ম আহবায়কের দায়িত্বে থেকে তুখোড় নেতৃত্ব দিয়েছেন। রাজনীতিতে গড়ে তুলেছেন নিজস্ব ইমেজ। রাজনীতির পাশাপাশি জনক-জননী ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন নামে একটি সামাজিক সংগঠন গড়ে তুলেছেন। যে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সারা বছর মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন তিনি।
চট্টগ্রাম ১০ আসন থেকে মনোনয়ন নেয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ছাত্রজীবন থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে রাজনীতির সাথে নিজেকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে রেখেছি। আওয়ামীলীগ আমার প্রাণের সংগঠন। এই সংগঠন যখন যাকে যেভাবে যোগ্য মনে করবে তা আমাদেরকে মাথা পেতে নিতে হবে। তিনি আরো বলেন, আমি মানুষের কল্যাণে কাজ করেছি যতদিন বাচবো এটা করে যাবো। আমাকে যদি কোন দায়িত্ব দেওয়া হয় আমি সংগঠনের ভাবমূর্তি যেন জনগণের কাছে উজ্জ্বল হয় সেই চেষ্টা করে যাবো ইনশাল্লাহ।
বিএনপির দূর্গ খ্যাত ডবলমুরিং-পাহাড়তলী এলাকায় দলের আন্দোলন-সংগ্রামে সামনের সারিতে নেতৃত্ব দেওয়া শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান ফরিদ মাহমুদ ১৯৮৬ সালে স্কুলে পড়া অবস্থায় ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। পরবর্তীতে তিনি লাল খান বাজার ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি মনোনীত হন। এরপর পর্যায়ক্রমে নগর যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য, খুলশী থানা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক, চট্টগ্রাম মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি নগর আওয়ামী লীগের কর্মকান্ডের সাথে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম মহানগরে পেশাজীবি, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া সংগঠনসমুহের পৃষ্ঠপোশকতা ছাডাও জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে চলেছেন ফরিদ মাহমুদ।