১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছিল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, সেদিন জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে আমরা আপনজন হারিয়েছি। কিন্তু বাংলাদেশ হারিয়েছিল তাদের ভবিষ্যৎ, ক্ষুধা, দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পাওয়ার পথ। সবই হারিয়েছে। তখন ক্ষমতা দখল শুরু হয় হত্যা এবং ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে, সংবিধান লঙ্ঘন করে, সেনা আইন লঙ্ঘন করে। একের পর এক, সরাসরি বা প্রত্যক্ষভাবে এই ধরনের শাসন চলতে থাকে।
রোববার (৮ অক্টোবর) সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিসিএস কর্মকর্তাদের ৭৫তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদ বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমার ছোট বোন শেখ রেহানার পাসপোর্টটাও রিনিউ করতে দেয়নি জিয়া। আমরা ১৯৮০ সালে লন্ডনে জাতির পিতার হত্যার বিচার চেয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলাম। সেই কমিটি ঢাকা আসতে চেয়েছিল, জিয়াউর রহমান ভিসা দেয়নি।
এসময় নতুন বিসিএস ক্যাডারদের দেশে অব্যাহত টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে বলেন প্রধানমন্ত্রী।
বিসিএস ক্যাডারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের সজাগ থাকতে হবে যাতে দেশের উন্নয়ন অব্যাহত ও টেকসই হয়। যার জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হবে।
২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের মূল সৈনিক হিসেবে নতুন কর্মকর্তাদের আখ্যায়িত করে শেখ হাসিনা তাদের এমনভাবে কাজ করতে বলেন, যাতে দেশ কখনো পিছিয়ে না পড়ে।
তিনি বলেন, আমরা দিনরাত পরিশ্রম করে বাংলাদেশকে একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে এসেছি। বাংলাদেশ যেন কখনো পিছিয়ে না থাকে তা নিশ্চিত করুন।
তিনি আরও বলেন, আমার নিজের কোনো চাওয়া নেই, তবে আমি আমার বাবার (বঙ্গবন্ধুর) স্বপ্ন পূরণ করতে চাই যা দেশবাসীর ভাগ্য পরিবর্তন এবং তাদের জীবনকে উন্নত করতে।
প্রধানমন্ত্রী নতুন কর্মকর্তাদের সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির পাশাপাশি পরিবেশ সুরক্ষার দিকে মনোযোগ দিয়ে প্রতিটি উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নের নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, নদী, খাল, পুকুর, বিল, জলাশয় রক্ষা করে উন্নয়ন করতে হবে। তাই এটা মাথায় রেখে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করুন। প্রধানমন্ত্রী বিসিএস ক্যাডারদের অত্যন্ত আন্তরিকতা, দেশপ্রেম ও দায়িত্ববোধ নিয়ে দেশের সেবা করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, চাকরি শুধু চাকরি নয়, বরং দেশের সেবা করা। জনগণের জন্য কাজ করতে হবে। নিজেকে জনগণের সেবক ভেবে জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে হবে।