নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের একজন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)।
অভিযুক্ত জঙ্গির নাম মোহাম্মদ আরিফ। তিনি টঙ্গীর ভারান এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন।
এটিইউ জানায়, বিদেশ থেকে কিছু জঙ্গি আসবে বলে আরিফ ১৫-২০ দিনে আগে একটি ফোন পান। আরিফসহ বিদেশ থেকে আসা জঙ্গিদের একত্রিত হয়ে টঙ্গী এলাকায় একটি বৈঠকে বসার কথা ছিল। বৈঠক শেষে তারা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করবেন বলে পরিকল্পনা করে আসছিলেন। এই পরিকল্পনায় আরিফ ইয়াকুব হুজুর নামে আরেক জঙ্গির সহযোগী হিসেবে কাজ করছিলেন। এছাড়া ওমর ফারুক ও জাহাদ খান নামে আরও দুই জঙ্গি জড়িত আছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর বারিধারায় এটিইউ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান এটিইউর পুলিশ সুপার (অপারেশন) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন।
সংস্থাটি বলছে, এসব বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্য পাওয়ার পর বুধবার রাজধানীর ভাটারা এলাকা থেকে আরিফকে গ্রেপ্তার করে এটিইউর একটি দল।
ছানোয়ার হোসেন বলেন, ‘আরিফ আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সক্রিয় সদস্য। জসীম উদ্দিন রাহমানি ও তামিম আল আদনানীদের ওয়াজ শুনে উদ্বুদ্ধ হয়ে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রথমে সমর্থক হয়। পরে নিষিদ্ধ এই জঙ্গি সংগঠনটির সদস্য হয়। গত ১৫-২০ দিনে আগে ইয়াকুব হুজুর নামে এক জঙ্গি ফোন করে আরিফকে জানায়, বিদেশ থেকে সংগঠনের আরও কিছু সদস্য আসবে। পরে তারা সবাই টঙ্গী এলাকায় গোপন বৈঠকে একত্রিত হবে।’
মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে গোপন তথ্য ছিল তারা টঙ্গী এলাকায় একটি গোপন বৈঠকে মিলিত হবে এবং পরে একটি কার্যক্রমে অংশ নেবে তারা। গোয়েন্দা তথ্য পাওয়ার পর আমরা নজরদারি বৃদ্ধি করি। নজরদারির এক পর্যায়ে মনে হয়েছে তারা কোনো নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঘটাতে এই বৈঠক করতে চাচ্ছে। পরে গতকাল অভিযান চালিয়ে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের তথ্যও আমাদের কাছে আছে। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।