ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দুই নেতাকে বেধরক মারধরের ঘটনায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সদরদপ্তরে গিয়েছিলেন সংগঠনটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। তারা সেখানে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সঙ্গে প্রায় আড়াই ঘণ্টা বৈঠক করেন।
বৈঠক শেষে সোমবার দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।
তিনি বলেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দুই নেতাকে এডিসি হারুনের মারধরের ঘটনায় ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) পুলিশের বিভাগীয় তদন্তে আস্থা রাখতে চায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। মামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বিষয়টি এড়িয়ে যান।
শনিবার রাতে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাবির ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম এবং বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাবির শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিমকে শাহবাগ থানায় নিয়ে বেধরক মারধর করেন এডিসি হারুন অর রশিদ। নারীঘটিত একটি ঘটনার জেরে এই মারধরের ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তপ্ত হয়ে উঠে ক্যাম্পাসের পরিবেশ। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। শাহবাগ থানায় নিয়ে দুই নেতাকে নির্যাতনের পর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার জেরে রাতেই শাহবাগ থানার সামনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ভিড় করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও পুলিশের কর্মকর্তারা থানায় গিয়ে মধ্যরাতে ঘটনা মীমাংসা করেন।
এ ঘটনায় এডিসি হারুনকে এপিবিএনে বদলি করা হয়। কিন্তু ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের দাবি, হারুনকে গ্রেফতার করা হোক।
এমতাবস্থায় আজ বেলা সোয়া ১২টার দিকে সাদ্দামকে ডিএমপি সদর দপ্তরে প্রবেশ করতে দেখা যায়। তিনি ডিএমপি কমিশনার গোলাম খন্দকার ফারুকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। তার কাছে এ বিষয়ে তদন্তের অগ্রগতি জানতে চান। এ সময় সাদ্দামের সঙ্গে ইনানও ছিলেন। তারা আড়াইটার দিকে ডিএমপি কার্যালয় ত্যাগ করেন।