সন্দ্বীপের গাছুয়া ইউনিয়নের কৃর্তি সন্তান ও মানবিক মানুষ আমেরিকা প্রবাসী মনিরুজ্জামান চৌধুরী প্রকাশ শিমুল চৌধুরী সন্দ্বীপ প্রেসক্লাবের সংবাদ কর্মীদের সাথে মতবিনিময় করলেন একটি আইসিইউ স্থাপনের স্বপ্ন নিয়ে ।তিনি অনেক বছর ধরে নীরবে নির্ভৃতে সন্দ্বীপ বিভিন্ন ক্রীড়া সংস্কৃতি,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,মসজিদ,মাদ্রাসা ও মন্দিরে দান করে গেলেও কখনো প্রচারনায় আসেননি। গত ৫ বছর আগে সাংবাদিক বাদল রায় স্বাধীন এক প্রতিবন্ধী বোন রাশেদার দুরদর্শার চিত্র তুলে ধরে প্রতিবেদন প্রকাশ করেন একটি টিভি চ্যানেলে। তাতে মেয়েটি বাজার থেকে কুড়িয়ে আনা পাকা তরমুজের খোসা রান্না করে দুপুরেের খাবারের ব্যবস্থা করছিলেন।তাও মানুষের খেয়ে রাস্তায় ফেলা দেওয়া তরমুজের খোঁসা। অন্যদিকে বেড়িবাঁধের বাইরে অরক্ষিত অবস্থায় তার জীবন কাটছিলো।
উক্ত হৃদয় ছোঁয়া প্রতিবেদনটি ওনার দৃষ্টিতে পড়লে তিনি আবেগ তাড়িত হয়ে আড়াই লক্ষ টাকা খরচ করে মেয়েটির জন্য একটি ঘর,টয়লেট, টিউবওয়েল সৌর বিদ্যুৎ সহ প্রয়োজনীয় সব কিছু করে দেওয়ার দায়িত্ব নেন।এই মহতি উদ্যোগ ওনাকে জনসন্মুখে নিয়ে আসে। সেই থেকে ওনার বিভিন্ন মানবিক কাজ সর্বমহলে প্রশংসিত হয়।তার ধারাবাহিকতায় তিনি বিভিন্ন মসজিদ,মাদ্রাসা, মন্দির, ক্রীড়া ও শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক অবদানের পাশাপাশি অনেক গুলো হুইল চেয়ার, সৌর প্যানেল, সেলাই মেশিদ, বিদ্যালয়ে কম্পিউটার প্রদান,অনেক গুলো পরিবারের প্রতিনিয়ত ভরন পোষনের টাকা প্রদান,শীতবস্ত্র বিতরন, করোনাকালীন খাদ্য সহায়তা প্রদান, দুঃস্থ অসহায়দের চিকিৎসা সেবা, গৃহ নির্মান সামগ্রী প্রদান, কন্যাদায়গ্রস্থ পিতাকে সহ-যোগিতা সহ অনেক মানবিক কাজ করে আসছেন।
১১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় সন্দ্বীপ প্রেসক্লাবের মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন আমি বিত্তবান না হলেও স্রষ্টা আমাকে আমার প্রয়োজনের চেয়ে বেশী দিয়েছেন, আমার অর্জিত টাকা দিয়ে আমার নিজস্ব আরাম আয়েশ বা ভোগ বিলাসের কোন ইচ্ছা নেই। বরং আমি আমার সেই সম্পদ বা অর্জিত টাকা অসহায়, গরীব,শীতার্থ মানুষ বা বৃদ্ধদের কল্যানে ব্যায় করে তৃপ্তি পাই। আমি শুধু আপনাদের দোয়া প্রত্যাশা করছি।আমার কোন রাজনৈতিক উচ্চ বিলাসিতা নেই। আল্লাহ যেন আমাকে ও আমার স্বজনদের সুস্থ ও নিরাপদ জীবন দান করেন।এ সময় তিনি আরো বলেন আমি প্রচার বিমুখ একজন ব্যক্তি, আমার সাধ্যমতে সমাজের অবহেলিত গরীব দুঃখী মেহনতী মানুষের সেবা করে বাকি জীবন কাটাতে চাই, তার জন্য আপনাদের সহযোগিতা চাই, বর্তমানে আমাদের সন্দ্বীপে সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে নেই কোন আইসিও ব্যাবস্থা, যার কারনে অনেক রোগী মারা যায়, আমি আমার সাধ্যমতে চেষ্টা করে যাচ্ছি নিজ উদ্যেগে হোক বা সকলের সহযোগিতার মাধ্যমে সন্দ্বীপে একটি আইসিও চালু করা যায় কিনা।তার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগ,স্থানীয় এমপি,উপজেলা চেয়ারম্যান, নির্বাহি কর্ককর্তা ও নীতি নির্ধারনী পর্যায়ের সকলের সহযোগিতা চাই। আমি নিজস্ব তহবিল ও বন্ধু বান্ধব থেকে তার জন্য প্রয়োজনীয় সবঙদ টাকার ব্যবস্থা করবো।
এ সময় প্রেসক্লাব সভাপতি রহিম মোহাম্মদ, বিশিষ্ট ব্যাংকার আখতারুজ্জামান সুজন, রেমিটেন্সযোদ্ধ মোঃ জসিম উদ্দিন,সাংবাদিক বাদল রায় স্বাধীন সহ সকল সংবাদ কর্মীরা ওনার এই মহতি চিন্তার ভূয়সী প্রশংসা সহ একটি প্রতিবন্ধী স্কুল ও চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপনের আহবান জানালে সে বিষয়ে তিনি কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন।