গত ১০ ই জুলাই থেকে মেয়েকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না তাঁর বাবা।শ্বশুড়বাড়ী থেকে বলেছে মেয়ে বাবার বাড়ী যাওয়ার কথা বলে সেদিন বেড়িয়ে গেছে।কোথাও মেয়েকে না পেয়ে মেয়ের বাবা আড়াইহাজার থানায় বিষয়টি জানান।পুলিশ স্বামী ও শাশুড়িকে আটকের পর তাদের দেওয়া তথ্যে মাটি খুঁড়ে মেয়েটির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
১৭ ই জুলাই সোমবার রাত ১টার দিকে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার বিশনন্দী ইউনিয়নের গাজীপুরা গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন আড়াইহাজার থানার ওসি ইমদাদুল ইসলাম তৈয়ব।২৮ বছর বয়সী মানসুরা আক্তারকে অন্তত ছয় থেকে সাতদিন আগে খুন করে লাশ শ্বশুরবাড়ির পাশে ঝোপের ভেতর মাটি চাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল বলে ধারণা পুলিশের। ওসি তৈয়ব বলেন,ওই গৃহবধূ গত ১০ জুলাই থেকে নিখোঁজ ছিলেন৷তাঁর বাবা পুলিশের কাছে এসে এ কথা জানালে তদন্ত শুরু করি৷এক পর্যায়ে স্বামী ও শাশুড়িকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাঁরা পারিবারিক কলহের জেরে মানসুরাকে শ্বাসরোধে হত্যা ও হত্যার পর বাড়ির পাশে ঝোপের মতো নির্জন একটি স্থানে লাশ মাটি চাপা দিয়ে রাখার কথা জানান৷
খুনের শিকার হওয়া মানসুরা উপজেলার রামচন্দ্রদী গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে৷ওসি তৈয়ব জানান,স্বামী ও স্ত্রী দু’জনেরই এর আগেও একবার বিয়ে হয়েছিলো।তাঁদের এ সংসারে দেড় বছরের একটি ছেলে রয়েছে৷ দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল।নিহত গৃহবধূ তাকে নির্যাতনের অভিযোগে এর আগে স্বামী-শাশুড়ির বিরুদ্ধে একটি মামলাও করেছিলেন৷ পরে সালিশে বিষয়টি সমাধান হলে মামলা তুলে নেওয়া হয়েছিল। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন এ পুলিশ কর্মকর্তা৷তিনি আরও বলেন, স্বামী ও শাশুড়িকে হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হবে।