তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সংলাপ নিয়ে বিদেশিরা কাউকে কোনো তাগাদা দেয়নি। সংলাপের কথা এক-এগারোর কুশীলবরা ও অন্য কিছু ব্যক্তিবিশেষ বলছে।
রোববার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে এ কথা বলেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি যখন কর্মসূচি দেয়, তখন সরকারি দল হিসেবে আমাদের একটা বাড়তি দায়িত্ব আছে। সরকারি দলের দায়িত্ব দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা। আগুন সন্ত্রাসীরা যেন মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তে না পারে, তা নিশ্চিত করা। রাজনৈতিক কর্মসূচির ব্যানারে কেউ যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়, সেক্ষেত্রে জনগণের সঙ্গে থাকা আমাদের দায়িত্ব।
তিনি আরো বলেন, সত্যিকার অর্থে এক-এগারোর পরিবর্তনের পর যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করেছিল, তারা দুর্নীতি-দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কথা বলে ক্ষমতা গ্রহণ করে। কিন্তু নিজেরাই দুর্নীতি ও দুঃশাসনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। ধারণা করা হয়েছিল, যাদের বিরুদ্ধে কথা বলে তারা ক্ষমতা গ্রহণ করেছিল, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। কিন্তু যে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি-দুঃশাসনের কারণে তারা ক্ষমতা গ্রহণ করেছিল, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করে বরং তত্ত্বাবধায়ক সরকার যখন দুর্নীতি-দুঃশাসনে জড়িয়ে পড়ে, তাদের বিরুদ্ধে যখন শেখ হাসিনা সোচ্চার হোন, তখন তার কণ্ঠ স্তব্ধ করার জন্য গণতন্ত্রের পথচলা থামিয়ে দিতে শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এর মধ্য দিয়ে সেদিন গণতন্ত্রকে শিকলবন্দি করা হয়েছিল।
আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করার পর হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। শেখ হাসিনার মুক্তির আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় জনগণও। সে কারণে এগারো মাস পরে শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিল তারা।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আর কখনো সেই ধরনের তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায় না। কিন্তু আমরা দেখছি, ইদানিং এক-এগারোর কুশীলবরা আবার সক্রিয় হয়েছে। তারা নানা জায়াগায় প্রকাশ্যে-গোপনে বৈঠক করছে। বিভিন্ন দূতাবাসে গিয়ে ধরনাও দিচ্ছে। এক-এগারোর কুশীলবরা সক্রিয় হয়ে নানা ধরনের প্রেসক্রিপশনও দেওয়া শুরু করেছে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ আর কখনো অন্য কারো প্রেসকিপশনে চলবে না। আমাদের সার্বভৌম বাংলাদেশ চলবে সংবিধান ও জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী।