ড্রোনের মতো প্রযুক্তির ব্যবহারে মশার আবাসস্থল নির্ধারণ সহজ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
তিনি বলেছেন, ড্রোনের কারণে প্রতিটি বাড়িতে সিঁড়ি বেয়ে ছাদে উঠতে হচ্ছে না। খুব অল্প সময়েই অনেকগুলো বাড়ির ছাদে মশা জন্মানোর মতো পানি আছে কি না, খুঁজে বের করা যাচ্ছে। এ সাফল্য থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ভবিষ্যতে মশার আবাসস্থল নির্ধারণে এ ধরনের প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো হবে। পাশাপাশি মশা নিধনে ওষুধ ক্রয় ও প্রয়োগেও বিশেষজ্ঞ মতামত ও প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) সকালে নগরীর আন্দরকিল্লায় পুরাতন নগর ভবনের কে বি আবদুচ ছাত্তার মিলনায়তনে চসিকের পরিচ্ছন্নতা বিভাগের উদ্যোগে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণ ও ডেঙ্গু চিকিৎসা সুবিধা সহজীকরণ এবং সম্প্রসারণের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, জরিমানার মতো শাস্তিমূলক পদক্ষেপের চেয়ে জনসচেতনতার প্রতি জোর দেওয়া হচ্ছে। ড্রোন দিয়ে ছাদে পানি দেখলে বাড়ির মালিকদের সতর্ক করে দেওয়া হচ্ছে। যাদের ছাদে খুব বেশি দিন পানি জমে আছে কেবল তাদের জরিমানা করা হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতিটি ওয়ার্ডে ১০০ দিনের ক্রাশ প্রোগ্রাম চলমান আছে। করোনা যেভাবে মোকাবিলা করেছি, সন্ধ্যার মধ্যে যেভাবে কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কার করেছি, সেভাবে সবাইকে নিয়ে ডেঙ্গুও প্রতিরোধ করব।
সভায় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় চসিকের প্যানেল মেয়র আফরোজা কালাম, বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, চসিকের বিভিন্ন বিভাগ ও শাখা প্রধান, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা কমিশনারের কার্যালয়, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ, স্বাস্থ্য বিভাগ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।