চ্যাম্পিয়ন্স লীগের সেমির প্রথম লেগের আগে সাবেক ইংলিশ তারকা ওয়েইন রুনি বলেছিলেন,এই সিটির কাছে গোলবন্যায় রীতিমতো ভেসে যাবে রিয়াল মাদ্রিদ।কিন্তু সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে তা হয়নি।১-১ গোলে ড্র নিয়ে এসেছিলো ম্যানচেষ্টার সিটি।অনেকেই রুনির কথাকে ঔদ্ধত্য হিসেবে দেখেছিলেন।কেননা প্রতিপক্ষ দলটার নাম যদি রিয়াল মাদ্রিদ হয়,আর মঞ্চটা হয় চ্যাম্পিয়ন্স লীগ,তাহলে কথা একটু বুঝেশুনেই বলতে হয়।ইউরোপ ক্লাব শ্রেষ্ঠত্বের এই চ্যাম্পিয়ন্স লীগের সবচেয়ে সফল দলটির নাম রিয়াল মাদ্রিদ।যাঁদের ফিরে আসার বহু ইতিহাস রয়েছে।কিন্তু গতরাতে সিটি যেনো মাঠে নেমেইছিলো রুনির কথা সত্যি প্রমান করতে।তাইতো ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই রিয়াল মাদ্রিদের ওপর চড়াও ম্যানচেস্টার সিটি। গোটা ম্যাচজুড়ে খেললো কেবল যেন সিটিই আর দর্শক হয়ে চেয়ে রইলো রিয়াল। সিটির গোছালো ফুটবলের কোনো জবাব ছিল না কার্লো আনচেলোত্তি বাহিনীর। বার্নার্দো সিলভার জোড়া গোল, হুলিয়ান আলভারেজের এক গোলের সঙ্গে এডার মিলিতাওয়ের আত্মঘাতী গোলে রিয়াল মাদ্রিদকে ৪-০ গোলের ব্যবধানে উড়িয়ে ফাইনালে ইন্টার মিলানের সঙ্গী হলো পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটি।
ঠিক এক মৌসুম আগে ম্যানচেস্টার সিটিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালের টিকিট কাটে রিয়াল মাদ্রিদ। আর সেই ক্ষোভটাই যেন ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে উগরে দিল ম্যানচেস্টার সিটি। ২০২১/২২ মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ম্যাচের শেষ মুহূর্তে দুই গোল করে অবিশ্বাস্য এক প্রত্যাবর্তন দেয় রিয়াল। আর তাতেই থমকে যায় সিটির ফাইনাল খেলার স্বপ্ন।
ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টে এক বছর পেরিয়েছে। বুরুশিয়া ডর্টমুন্ড থেকে এর্লিং হালান্ডকে দলে ভিড়িয়েছে সিটিজেনরা।আর তাতেই অপ্রতিরোধ্য সিটি। সঙ্গে পেপ গার্দিওলার জগদ্বিখ্যাত কৌশল।নতুন মৌসুমে অপ্রতিরোধ্য ম্যানচেস্টার সিটি। সেমিফাইনালের প্রথম লেগে রিয়াল মাদ্রিদের মাঠ থেকে ১-১ গোলে ড্র করে বেশ স্বস্তিতেই ছিলেন সিটিজেন কোচ গার্দিওলা। কেননা দ্বিতীয় লেগ যে ঘরের মাঠে। আর ঘরের মাঠে রিয়ালের কাছে কখনোই হারেনি সিটি। সেই পরিসংখ্যান ধরে রেখেছে সিটি। সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে রিয়ালকে এক প্রকার উড়িয়েই দিয়েছে সিটিজেনরা।এখন কেবল একটি বাঁধাই বাকি।ইন্টার মিলান।দুই লেগ মিলিয়ে যাঁরা ৪-০ ব্যবধানে এসি মিলানকে হারিয়ে আগেই ফাইনালে উঠে আছে।