গাজীপুরের সাময়িক বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। অগ্রণী ব্যাংকে ঋণখেলাপি হওয়ার কারণে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। তবে তার মা জায়েদা খাতুনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
রোববার সকালে গাজীপুরের রিটার্নিং অফিসার এ কথা জানান।এর আগে গতকাল শনিবার জাহাঙ্গীর আলম গাজীপুর সিটি মেয়রের পদ থেকে পদত্যাগের আবেদন করেছেন বলে জানা যায়।
গাজীপুর সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন মো. জাহাঙ্গীর আলম। একই পদে প্রার্থী হিসেবে তার মা জায়েদা খাতুনকেও দাঁড় করিয়েছেন।
গত ১৫ এপ্রিল ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ড গাজীপুর সিটি নির্বাচনে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খানকে মনোনয়ন দেয়।
দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত জাহাঙ্গীর সেদিনই তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ‘গাজীপুরের মানুষ চাইলে তিনি এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন’ বলে জানান। এরপর জাহাঙ্গীর তার সিদ্ধান্তে অটল থেকে দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে গত বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দেন।
গাজীপুর জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, ৫৭টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত গাজীপুর সিটি করপোরেশনে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৮৪ হাজার ৩৬৩ জন। আগামী ২৫ মে ইভিএমে ভোটের মাধ্যমে গাজীপুর সিটির বাসিন্দারা আগামী দিনের মেয়র বাছাই করে নেবেন।
প্রসঙ্গত, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি ও মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে ২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর জাহাঙ্গীর আলমকে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দলের সদস্যপদ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়।
সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা ও দলে ফিরতে কেন্দ্রে আবেদন করেছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। এরপর বহিষ্কার হওয়া নেতাদের মধ্যে যারা যারা আবেদন করেছেন সবাইকে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ক্ষমা করে দিয়েছেন বলে জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এরপর গত ১ জানুয়ারি ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে জাহাঙ্গীর আলমকে ক্ষমা করার কথা গণমাধ্যমে খবর হয়ে আসে।