নীল রঙের পাখির সেই লোগো বদলে দিয়েছেন টুইটার প্রধান ইলন মাস্ক। পাখির পরিবর্তে ডগি’র ছবি এনেছেন তিনি।
১৭ বছর পর বদলে গেল টুইটারের লোগো। মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারের নীল পাখি লোগো হয়ে গেল মিমের কুকুর। প্রায় ১৭ বছর পর হঠাৎই ‘ডগি’ মিমের ছবিতে বদলে গেল টুইটারের লোগো। আর এই আপডেটের বিষয়টি জানালেন খোদ টুইটার প্রধান ইলন মাস্ক। তবে ওয়েবসাইটে দেখা গেলেও মোবাইল অ্যাপে দেখা যাচ্ছে না কুকুরের লোগোটি।
সোমবার (৩ এপ্রিল) থেকেই টুইটার খুলে ইউজাররা দেখতে পাচ্ছেন এই নতুন লোগো। হোমপেজ থেকে উড়ে গিয়েছে চিরপরিচিত নীল পাখিটি। পাখির জায়গা দখল করেছে শিবা ইনু প্রজাতির একটি কুকুর। তবে নেটদুনিয়ায় বেশ জনপ্রিয় এই কুকুরটিও। ‘ডগিকয়েন’ নামে একটি ক্রিপ্টোকারেন্সির লোগো হিসাবে ব্যবহার করা হয় এই কুকুরের ছবি।
সামাজিক মাধ্যমে এই কুকুরটির ছবি মিমের জন্য বেশ জনপ্রিয়। তার ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে তাকিয়ে থাকার এই পোজ বেশ পছন্দ নেটিজেনদের। তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই ডগি লোগোটি শুধুমাত্র টুইটারের ওয়েব সংস্করণেই দৃশ্যমান। টুইটার অ্যাপে লোগোতে কোনও পরিবর্তন হয়নি।
ইলন মাস্ক তার টুইটার অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ব্লু বার্ড থেকে ডগি’তে এই পরিবর্তনের বিষয়টি নিজেই জানিয়েছেন। মাস্ক নিজেই একটি মিম পোস্ট করেন। তাতে প্রথমে একজন পুলিশ অফিসার একটি নথি পরীক্ষা করছেন। সেখানে টুইটারের পুরনো ছবি দেখে কুকুরটি বলছে, এটি তার বহু পুরনো ছবি।
ইলন মাস্ক টুইটার অধিগ্রহণের আগে একজন টুইটার ব্যবহারকারীর সঙ্গে তার কথোপকথনের একটি স্ক্রিনশটও শেয়ার করেছেন। সেখানে লিখেছেন, ‘প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী’। সেই চ্যাটে দেখা যাচ্ছে, ইলন মাস্ক প্রশ্ন করছেন যে, নতুন প্ল্যাটফর্মের প্রয়োজন আছে কিনা। সেখানে ব্যবহারকারী পরামর্শ দেন, ইলন মাস্কের টুইটার কেনা উচিত এবং নীল পাখির লোগোর বদলে ডোজের ছবিটি ব্যবহার করা উচিত।
সংবাদ সংস্থা’র মাধ্যমে জানা গেছে, টুইটার তার হোম পেজের লোগো ডোজ মিমে পরিবর্তন করার পরপরই ডোজকয়েনের মূল্য প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে।
ইলন মাস্ক গত অক্টোবরে দায়িত্ব নেয়ার পর টুইটারের বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছেন। সম্প্রতি টুইটারও ঘোষণা করে যে, ১ এপ্রিল থেকে ভেরিফায়েড প্রোফাইলগুলি থেকে নীল টিক সরিয়ে দেবে। ব্লু টিক-সহ ভেরিফায়েড প্রোফাইল পেতে হলে মাসে ৮ ডলারের সাবস্ক্রিপশন নিতে হবে।
নতুন নিয়মের পর বিশ্বের অন্যতম বড় সংবাদপত্র নিউ ইয়র্ক টাইমসের টুইটার পেজ থেকেও ব্লু টিক ভেরিফিকেশন সরিয়ে দিয়েছে টুইটার। নিউ ইয়র্ক টাইমস কর্তৃপক্ষ ভেরিফিকেশনের জন্য টাকা দিতে অস্বীকার করার পরেই এই নিয়ম প্রয়োগ করা হয়।
ইলন মাস্ক যদিও এসব নিয়ে একেবারেই চিন্তিত নন। তিনি বলেন, ‘আমি যেটা চাইছিলাম, ওরা সেটাই নিজে থেকে করল।’