বিড়ালছানা আনতে বের হয়ে নিখোঁজের আট দিনের মাথায় বস্তাবন্দী এক শিশু আয়নীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার(২৯মার্চ) সকালে নগরের পাহাড়তলী থানার আলম তারা পুকুরপাড়া মুরগি ফার্ম এলাকার একটি ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআই।
নগরের পাহাড়তলী থানার কাজীর দীঘি এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকত শিশুটি। স্থানীয় একটি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী সে।
আয়নীর গলিত মরদেহ উদ্ধার করার ঘটনায় সন্দেহজনক হিসেবে এক সবজি বিক্রেতাকে আটক করা হয়েছে।
আটক মো.রুবেল নগরের পাহাড়তলী থানাধীন কাজির দিঘী ডা. নজির বাড়ির মৃত আব্দুল নূরের ছেলে।
২১ মার্চ বিড়ালছানা আনতে গিয়ে শিশুটি নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় তার মা বাদী হয়ে পাহাড়তলী থানায় জিডি করেন। থানা-পুলিশ মামলা না নেওয়ায় শিশুটির মা বাদী হয়ে গতকাল মঙ্গলবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল চট্টগ্রামে মামলা করেন। এতে শিশুটির বাসার পাশের সবজি বিক্রেতাকে আসামি করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, মা পোশাক কারখানার শ্রমিক। বাবা একই পেশায় ঢাকায় কর্মরত। স্কুলের এক বান্ধবীর মাধ্যমে জানতে পেরে শিশুটি বিড়ালের ছানা আনতে যায় ওই সবজি বিক্রেতার কাছে। এর পর থেকে তাকে আর পাওয়া যাচ্ছিল না।
পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটের পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, শিশু আয়নী নিখোঁজের বিষয়টি অবগত হওয়ার পর থেকে রুবেলকে নজরদারিতে রাখা হয়েছিল। কিছু তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহের পর মঙ্গলবার রাতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়।
তিনি বলেন, ‘একপর্যায়ে রুবেল স্বীকার করে, মেয়েটিকে ২১ মার্চ নিখোঁজের দিনই সে কাজিরদীঘি এলাকায় একটি পরিত্যক্ত ভবনের চারতলায় নিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর শ্বাসরোধে হত্যা করে তার লাশ বস্তায় ভরে ময়লা-আবর্জনায় ভরা ডোবায় ফেলে দেয়।’
রুবেলের তথ্য অনুযায়ী বুধবার ভোরের দিকে ডোবা থেকে বস্তাবন্দি প্রায় গলিত লাশটি উদ্ধার হয়েছে বলে জানান পিবিআই কর্মকর্তা নাইমা সুলতানা।
ঘটনাস্থলে আয়নীর লাশ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন তার মা ও স্বজনেরা। নৃশংসতার শিকার হয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নেওয়া মেয়ের জন্য মায়ের আহাজারি যেন থামছিলই না!
পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো পরিদর্শক ইলিয়াস খান বলেন, শিশুটির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।