চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগ নেতা ফরিদ মাহমুদ বলেছেন, আজকাল আমরা মুখে সংগঠনের কথা বলি। কিন্তু চাই ব্যক্তিগত আধিপত্য। বার মতামতের প্রাধান্যের ফাঁকা বুলি আওড়ালেও চাই ব্যক্তির নিরুঙ্কুশ নিয়ন্ত্রণ। সমাজ ও রাষ্ট্রে কিছু মানুষ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যক্তিতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে মরিয়া। সমাজে ব্যক্তিতন্ত্র নয়, মনুষত্ব্যের বিকাশ ঘটাতে হবে। মানুষের জন্যে যখন ভালো কাজ করবেন, তখন তাঁরাই ঠিক করে দিবে, আপনার উপযুক্ত আসন কোনটি!
আকতার উদ্দিন রানা কেন্দ্রীয় মহাসচিব পদে অধিষ্ঠিত হওয়ায় এক সম্বর্ধনা ও প্রীতি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে ফোরামের সিনিয়র সহ সভাপতি জিএম মাহাবুব হোসেন সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক রিদুয়ানুল আলমের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সাবেক সহ সভাপতি সুরুথ কুমার চৌধুরী, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ভাইস প্রেসিডেন্ট ইন্জিনিয়ার জাবেদ আবছার চৌধুরী, মহিলা কাউন্সিলর রুমকী সেন গুপ্ত, কোনাখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার, ফোরামের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ জেসমিন আফরোজা।
বক্তব্য রাখেন নগর যুবলীগ সদস্য শেখ নাছির আহমেদ,দেলোয়ার হোসেন দেলু,আশরাফুল গনি,আরিফুর রহমান শাহ,লোকমান মিয়া,আবু বক্কর সিদ্দিক হারুন, রোজি আকতার, মহিলা মেম্বার রিনা আকতার, মায়া চৌধুরী,ফাতেমা আকতার ডলি, ফরিদা ইয়াছমিন প্রমুখ।সভায় সম্বর্ধিত অতিথিকে ক্রেষ্ট দিয়ে সম্মাননা জানান প্রধান অতিথিসহ গন্যমান্য নেতৃবর্গ। সভায় সম্বর্ধিত অতিথি বলেন, দীর্ঘদিন এই সংগঠনে ইতিবাচক কাজ করে এ পর্যায়ে অধিষ্ঠিত হতে গিয়ে জীবনে কখনো কোন অনিয়ম,অর্থ সংগ্রহ, হঠকারিতার অভিযোগ কখনোই তুলতে পারেনি। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর যে দুর্নাম সেই ধারা থেকে বেরিয়ে এসে প্রকৃত মানবসেবায় আমাদেরকে নিয়োজিত হতে হবে। শেষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া শিশু কিশোরদের পুরস্কৃত করা হয়।