মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের উদ্যোগে পালন করা হয় ২রা মার্চ ঐতিহাসিক পতাকা উত্তোলন দিবস। আজ বৃহস্পতিবার এম এ আজিজ স্টেডিয়ামস্থ বিজয় মেলা পরিষদের অফিসে পতাকা উত্তোলন দিবস উপলক্ষে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বীর মুক্তিযোদ্ধা পান্টু লাল শাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দীপঙ্কর চৌধুরী কাজল। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, সৈয়দা তাহমিনা সুলতানা, রাকিব হোসেন, সুজিত ঘোষ, সুচিত্রা গুহ টুম্পা, জান্নাতুল ফেরদৌস, দেলোয়ার হোসেন, আমিনুল ইসলাম, মিনহাজ উদ্দিন, মো. মহিউদ্দিন তাকিম, মো. মিনহাজ ইদ্দিন তাকিম, মো.তানুন চৌধুরী, তাপস চৌধুরী, এয়ার মো. সপ্নিল, রাফিদ রায়হান প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন যুবলীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান স্কোয়াডের সদস্য সচিব কাজী রাজেশ ইমরান।
এসময় বক্তারা বলেন, ২রা মার্চ বাংলাদেশের জাতীয় জীবনে এক অন্যতম অধ্যায়। এই দিনটি সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানতে হবে। এই দিনটি বাংলাদেশের রাজনীতি তথা মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে আরেকটি দুঃসাহসিক ঘটনা। এই দিনে চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক লালদিঘি ময়দানে ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ পাকিস্তানের পতাকা পুড়িয়ে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত পতাকা উত্তোলন করে।
উল্লেখ্য, অগ্নিঝরা মাচের দ্বিতীয় দিনে প্রথম ওড়ানো হয়েছিল মানচিত্র খচিত স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজার হাজার ছাত্র ঐদিন বটতলায় এসে সমাবেত হয়েছিলেন। সেদিন বঙ্গবন্ধুর আহবানে স্বতঃস্ফূর্ত হরতাল পালিত হয়। তাঁর নির্দেশে বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভায় উত্তোলন করা হয় বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত পতাকা। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে এই পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে নেতৃত্ব প্রদান করেন তৎকালীণ ছাত্রলীগ সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক শাজাহান সিরাজ, ডাকসু সহ-সভাপতি আ স ম আব্দুর রব এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস মাখন।