‘‘উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায়,দেশ গড়বো সমাজসেবায়”-এই প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে ২ জানুয়ারি সারা দেশে বর্নাঢ্য আয়োজনে উদযাপিত হয়েছে জাতীয় সমাজসেবা দিবস ২০২৩। প্রতিটি উপজেলায় ২/৩ শ লোকের উপস্থিতিতে র্যালি,আলোচনা সভা,হুইল চেয়ার প্রদান, সমাজ কল্যাণ পদক প্রদান সহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে।
কিন্তু আমরা সন্দ্বীপিরা যেন এক আশ্চর্যজনক উপজেলায় বসবাস করছি। উপজেলা সমাজ সেবা অফিস নিজেদের ইচ্ছে মতো দিবস উদযাপনের নামে মাত্র ৫ জন নারী ও ১ জন পুরুষ নিয়ে অফিসের দরজায় দাঁড়িয়ে র্যালির ফটোসেশন করে দিবসের সমাপ্তি ঘটিয়ে দিলো।
সকাল ১১ ঘটিকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সমাজ সেবা অফিসের দরজায় মাত্র ৬ জনের এই বিশাল(!) র্যালির ফটোসেশন চলছে। তা দেখে উপজেলায় আগত বিভিন্ন লোকজন হাসাহাসি করছেন এবং নিজেদের মাঝে বলাবলি করছেন একটি জাতীয় দিবস উদযাপনে কেন এতো অবহেলা? যেখানে আজ বড় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের প্রতিষ্ঠানের সুযোগ সুবিধা জনগণের মাঝে উপস্থাপন করে তাদের সেবা গ্রহণে উৎসাহিত করবে, সেখানে তারা গোপনে অনুষ্ঠানের নামে ৬ জনের ছবি তুলে বিল বানানো ও বাজেটের টাকা পকেটস্থ করার পাঁয়তারা করছে।
জনগণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে খবর নিয়ে জানা যায়, এই ছয়জনকে দাঁড়িয়ে ছবি তোলার পরে সিঙ্গারা ও চা খাইয়ে আপ্যায়ন পর্ব শেষ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উক্ত দপ্তরের কর্মকর্তা রাজিব আচার্য্যের 01815-380622 ফোন নাম্বারে ফোন করে মোট বাজেট ও প্রোগ্রামের দৈন্যতার কথা জানতে চাইলে ওনি ফোন রিসিভ করেননি। এরপর হোয়াটসআ্যাপে নক করে মন্তব্য চাইলে ম্যাসেজ সিন করলেও কোন উত্তর প্রদান করেননি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসের নিচে অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের জাতীয় দিবস উদযাপনের এমন চিত্র দেখে অবাক বিস্ময়ে প্রশ্ন করলেন উৎসুখ জনতা মিজানুরর রহমান, মোঃ সোহাগ সহ আরো অনেকে।তারা বলেন দিবস উদযাপনে যে দপ্তর এতো ছলাকলা করতে পারে সে দপ্তর জনগণের সাথে সেবার নামে কত প্রতারণা করতে পারে সেটা ভাবনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের এমন কার্যক্রম তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।